'নীলাঞ্জনা ঐ নীল নীল চোখে চেয়ে থেকো না, তোমার ঐ দুটি চোখে আমি হারিয়ে গেছিঃ' কিংবা 'চোখ যে মনের কথা বলেঃ' গান বলেন আর কবিতাই বলেন এ অঙ্গের বন্দনা কোথায় নেই! সুন্দর একজোড়া চোখ যেমন আপনার শ্রীকে বাড়িয়ে দিতে পারে অনেক গুণ, তেমনি সুন্দর একজোড়া চোখের অভাবে আপনার সব সৌন্দর্যই মাটি হয়ে যেতে পারে। তাই চোখের যত্ন নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন-
চোখের বিশ্রাম :চোখের বিশ্রামের জন্য ঘুমের বিকল্প কিছু নেই। দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম চোখের বিশ্রামের জন্য একান্ত প্রয়োজন। এছাড়া, সবুজ গাছ পালার দিকে তাকান, এতে করে চোখের জ্যোতি বাড়বে, চোখ আরামও পাবে। হাতের তালু দিয়ে ৫ মিনিট চোখ ঢেকে রাখলেও চোখের বেশ খানিকটা বিশ্রাম হবে।
চোখের যত্ন : চোখের যত্নের ক্ষেত্রে প্রথমেই যেটা করণীয় তা হলো নিয়মিত পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধোবেন। মাঝে মধ্যে গোলাপ জল দিয়ে চোখ ধুলে চোখ সতেজ হয়। যাদের চোখের নীচে কালো দাগ আছে, তারা লেবুর রস ও কাঁচা দুধের মিশ্রণ করে চোখে লাগাবেন। এছাড়া শসার রস নিয়মিত লাগালেও চোখের নীচের কালো দাগ দূর হয়।
অনেক সময় অতিরিক্ত কাজ যেমন_অনেকক্ষণ ধরে টিভি দেখা ইত্যাদি কারণে চোখে ক্লান্তির ভাব ফুটে ওঠে। এক্ষেত্রে চায়ের লিকার বরফ ঠান্ডা করে তাতে তুলা ভিজিয়ে চোখ বন্ধ করে তার উপর রাখুন। বিশ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
চোখের বলি রেখা : চোখের বলি রেখা দূর করার জন্য পাউরুটির চারপাশটা ফেলে দিয়ে ভেতরের তুলতুলে নরম অংশটা সামান্য গরম দুধে ভিজিয়ে ২-৩ ফোঁটা বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। এবার একটি পাতলা কাপড়ে পাউরুটির টুকরো বেঁধে নিয়ে বলিরেখার ওপর বোলাতে থাকুন। এতে অনেক সময়ই বলি রেখা মুছে যায়।
আরো কিছু টিপস
০০ পড়াশোনা বা সেলাই ইত্যাদি সূক্ষ্ম কাজগুলো করার সময় আমাদের চোখে চাপ পড়ে বেশি। এ ক্ষেত্রে ১ ঘণ্টার বেশি এক নাগারে এসব কাজ করা উচিত নয়। অল্প আলোতে পড়াশোনা বা সেলাই-এ দুটোর কোনোটাই করা যাবে না।
০০ টিভি দেখার সময় ৮-১০ ফুট দূরে বসুন।
০০ কম্পিউটারে এক নাগাড়ে বসে কাজ না করে বিরতি নিয়ে কাজ করুন। এতে চোখে চাপ কম পড়বে।
০০ শুয়ে বা কাত হয়ে বইপড়া উচিত নয়। সবসময় বসে বই পড়ার চেষ্টা করবেন।
০০ চোখের মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও যত্নবান হবেন। চোখের নীচের অংশ খুবই স্পর্শকাতর। তাই মেকআপ তোলার সময় খুব সাবধানে আস্তে আস্তে তুলবেন।
০০ চোখ ভালো রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবার-দাবারেরও প্রয়োজন আছে। ভিটামিন 'এ', 'বি' ও 'সি' প্রচুর পরিমাণে আছে_এমন খাবারগুলো বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
0 comments:
Post a Comment