RSS

Thursday, June 16, 2011

এক চিলতে বারান্দা

সারা দিনের কাজের পর চাই দুদণ্ড অবসর। প্রিয়জনের সঙ্গে একটুখানি সময় কাটানোর সুযোগ। তখনই দরকার আলাদা একটা জায়গা, যেখানে বসে নিজেকে খুঁজে পাবেন আলাদা করে। কর্মব্যস্ত দম্পতিরা ঘরে ফিরে একান্ত সময় কাটানোর কথা হয়তো ভুলেই যান। কারণ, একান্ত সময় কাটানোর জন্য আলাদা একটা জায়গা তো দরকার, যেখানে বসে মনের কথা বলবেন। বসার ঘরের ফোমে আঁটা সোফা কিংবা বড় ভারী আসবাবের মাঝে বসে তো প্রশান্তির পরশ মেলে না কিংবা শোবার ঘরে মেলে না সেই রোমান্টিকতা। তাই দরকার আলাদা খোলামেলা জায়গা, যেখানে থাকবে সবুজের আবেশ। আর দেখা যাবে আকাশ।

ইট-কাঠের এই শহরে স্থান সংকুলানের কারণে এমন জায়গা প্রায় কমেই গেছে। ইন্টেরিয়র হাউস অন্দরসজ্জার প্রধান নির্বাহী রুমানা আফজাল খান বলেন, আজকাল অ্যাপার্টমেন্টগুলোয় ঝুলবারান্দা ছোট হয়। তার পরও চাইলে ঝুলবারান্দায় করে নিতে পারেন আলাদা বসার জায়গা। ঝুলবারান্দার জায়গা যদি বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে একটু আলাদা ধরনের ডিভান ধাঁচের চেয়ার পাতা যেতে পারে। চাইলে শরীর এলিয়ে দিয়ে বসাও যায় এই চেয়ারে। তবে জায়গা কম হলে চেয়ারের চেয়ে শতরঞ্জি পাতাই ভালো। শতরঞ্জির ওপর কয়েকটা কুশন দিতে পারেন। কুশনগুলোর আকার বিভিন্ন হতে পারে। কোনোটায় হয়তো বসলেন, কোনোটা আবার নিছক সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য। যদি কেউ নিচে বসতে অভ্যস্ত না হন, সে ক্ষেত্রে ছোট বেত, মাটি কিংবা কাঠের ওপর রশির বুননের মোড়া হলেও চলবে। পাশে রাখতে পারেন মাটির পটারি। বিভিন্ন আকারের মাটির পটারি দিয়ে বসার জায়গাটা সাজালে মন্দ লাগে না। অপেক্ষাকৃত মুখ বড় এমন মাটির পাত্রে সন্ধ্যাবেলায় পানি দিয়ে ফুলের পাপড়ি আর ভাসমান মোমবাতি জ্বালিয়ে দিলে অনেক বেশি ভালো দেখায়।

সবুজ তো সবারই পছন্দ। তাই বসার জায়গার পাশে মাটির টবে গাছ রাখতে পারেন। চাইলে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা মাটির পাত্রে গাছ লাগাতে পারেন। অনেকের ঝুলবারান্দায় গ্রিল লাগানো থাকে। চাইলে এই গ্রিলে বেঁধে দিতে পারেন মানিপ্ল্যান্টের বোতল। আয়েশ করে কেউ চায়ে চুমুক দিতে চাইলে ছোট টেবিল রাখতে পারেন, যাতে চা কিংবা নাশতা রাখা যাবে।
তবে পুরো সজ্জাটা যেন পারিপার্শ্বিক অন্য সবকিছুর সঙ্গে মিলে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবেশটা যেন ব্যক্তিকে অনেকটাই চাঙা করে দেয়। সারা দিন শেষে স্নিগ্ধতা আর প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যাবে এখানেই।

0 comments:

Post a Comment