RSS

Tuesday, December 28, 2010

উপহারে আশীর্বাদ

বিয়ের নিমন্ত্রণে যাবেন। সব ঠিকঠাক। কিন্তু উপহার কী দেবেন? এই চিন্তায় অনেক সময় আনন্দটাই দমে যায়। ‘আগে বিয়েতে কাঁসার তৈজসপত্র, মেলামাইন, কাচের বাসনকোসন কিংবা ডিনারসেট দেওয়ার প্রচলন বেশি ছিল। হয়তো নগদ অর্থ দিতেন কেউ কেউ। এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।’ বলেন ডিজাইনার চন্দ্রশেখর সাহা।

Monday, December 27, 2010

বর-কনের প্রস্তুতি

বিয়ের দিনে যেন দেখায় সবচেয়ে সুন্দর—এমন আকাঙ্ক্ষা বর-কনের তো থাকবেই। সে জন্য চাই প্রস্তুতি। তবে সাজের সে প্রস্তুতিটি যেন গায়েহলুদের দিন থেকে শুরু না হয়। প্রস্তুতি নিন বিয়ের কিছুদিন আগে থেকেই। অন্তত তিন মাস সময় রাখুন হাতে।

বিয়ের খাবারের স্বাদ

বিয়ের আয়োজনে সবার আগে চিন্তা করতে হয় অতিথি আপ্যায়ন, মানে খাবারের কথা। এ আয়োজন স্মরণীয় করতে খাওয়াদাওয়ার মানটাও হওয়া চাই ভালো। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে বিয়ের খাবারেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। বিয়ের খাবারে ঐতিহ্যের সঙ্গে কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়াও লেগেছে। কমিউনিটি সেন্টার বা রেস্তোরাঁয় বিয়ের আয়োজন করলে তাঁরাই খাবারের দায়িত্ব নেন। আবার খ্যাতিমান ক্যাটারিং সার্ভিস বা বাবুর্চিদেরও দেওয়া যায় খাবারের দায়িত্ব।

অন্য রকম ওড়না, ভিন্ন রকম গয়না

বিয়ের আয়োজনে সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন কনে। কনে কী শাড়ি পরলেন, রংটা ঠিক আছে কি না, শাড়ির সঙ্গে ওড়নাটা মানাল কি না—এই নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা। এই খুঁটিনাটি বিষয়ে লক্ষ রেখেই এখন তৈরি হচ্ছে কনের পোশাক। টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের কর্ণধার মুনিরা ইমদাদ বলেন, একটা সময় ছিল যখন সবাই বেনারসি পরত এবং সঙ্গে থাকত মসলিনের সোনালি ওড়না। এখন সময় বদলেছে, আর এই বদলে যাওয়া সময়ে কনের পোশাকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তাই কনের সাধ গতানুগতিক ঢঙে সীমাবদ্ধ নেই। এখন বিভিন্ন ধরনের শাড়ি যেমন পরছে, তেমনি শাড়ির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন অনুষঙ্গেও এসেছে বৈচিত্র্য।
কনের বিয়ের মূল শাড়িটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সেই শাড়ির সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রতিটি অনুষঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ। মাঝখানে কিছুদিন জর্জেটের খুব ভারী শাড়ির চল দেখা গেলেও ইদানীং সবারই পছন্দ অনেকটা ঐতিহ্যবাহী শাড়িগুলো। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় কাতান শাড়ির নাম।

ফুলেল সাজে হলদে কনে

হলুদ গাঁদা আর লাল গোলাপ, সঙ্গে সুঁই-সুতার গাঁথুনি। তৈরি করা হতো গায়েহলুদের গয়না। ফুল ছাড়া এ অনুষ্ঠান যেন অসম্পূর্ণ। এখন ফুলের ব্যবহারে বৈচিত্র্য এলেও এর আবেদন কমেনি। কনের হলুদের গয়না যে ফুলেরই হতে হবে। তবে গাঁদা বা গোলাপের পাশাপাশি আরও অনেক নতুন ফুল দিয়ে এখন গয়না তৈরি হচ্ছে।

ফুলের গয়নায়
রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান মনে করেন, এখন মানুষের মধ্যে পরিমিতিবোধ এসেছে। কী দিয়ে সাজলে নিজেকে মানাবে, তা তারা জানে। খুব বেশি ফুল দিয়ে না সেজে অল্পের মধ্যে নিজেকে সাজাতে চায়। সে কারণে গায়েহলুদের শাড়ি কেনার পর ঠিক করতে হবে, কোন ফুল দিয়ে আপনি সাজবেন। আগে শুধু গাঁদা, গোলাপ আর রজনীগন্ধা দিয়ে কনেকে সাজানো হতো। এখন নানা ধরনের দেশি-বিদেশি ফুল বাজারে পাওয়া যায়। সেসব দিয়ে নিজেকে সাজায় মেয়েরা। এ জন্য প্রথমে দেখতে হবে, শাড়িটা কোন উপাদানের।

বিয়ের কত্ত আয়োজন

দেখে মনে হতে পারে, যেন কোনো রাজদরবারে বসে আছেন মধ্যমণি রাজা আর রানি। তাঁরা হলেন বর আর কনে। বিয়ের আসরে সিংহাসনের মতো চেয়ারে তাঁরা বসে আছেন। আর সামনে আমন্ত্রিত অতিথিরা। খটকা লাগতে পারে, কনে আবার পা ঝুলিয়ে বসে না কি! আর বরের নাকে রুমালই বা কোথায়!

বর আসবে এখনই

বিয়ে মানে নতুন জীবনের শুরু। এই শুরুটা স্মরণীয় করে রাখতে চেষ্টার অন্ত থাকে না। বিয়ের আয়োজনের সবকিছুই হওয়া চাই একদম মনের মতো। শুধু কনেরই নয়, বরদেরও পোশাক নিয়ে থাকা চাই নানা আয়োজন।
বিয়ের পোশাক হিসেবে এখনো শেরওয়ানিই জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ফ্যাশনের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এর ছাঁট-কাটে কিছু পরিবর্তন চলে এসেছে। সাটিন বা মখমল কাপড় দিয়ে বানানো চাপা শেরওয়ানি ও চাপা চুড়িদার—এটা ছিল সত্তরের দশকের স্টাইল। তবে এখন পাগড়ি থেকে শুরু করে পাঞ্জাবি—সবকিছুতেই চলে এসেছে বিভিন্ন রূপ।
ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক বলেন, ‘বিয়ের দিনটি বর-কনের জন্য স্বপ্নের দিন। “ব্রাইডাল লাইন আপ বাই এমদাদ হক” কালেকশনের মাধ্যমে বিয়ের পোশাকে সেই স্বপ্নটাই ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করি। শুধু মেয়ের নয়, বিয়ের দিনটি একটি ছেলের জীবনেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আজকাল বিয়েতে বা জয়েন্ট রিসেপশনে স্যুট, টাক্সিডো, প্রিন্সকোট পরে থাকেন। কিন্তু বিয়েতে শেরওয়ানির আবেদন অনেক বেশি। নিজেকে এদিন অন্য সবার থেকে আলাদা করে উপস্থাপনের বিষয়টি শেরওয়ানির মাধ্যমেই যেন ফুটে ওঠে।’

Thursday, December 16, 2010

সন্দেহ যখন মনে

ইদানীং বাসায় ফিরতে প্রায়ই দেরি করছে তৌফিক। গভীর রাতে ফিরে নিতান্ত অনিচ্ছায় খাবার টেবিলে বসে কিছু মুখে দিচ্ছে। কখনো অর্ধেক খেয়ে উঠে যাচ্ছে। তারপর বারান্দায় গিয়ে সিগারেট ধরাচ্ছে। বিষটুকু গলায় ঢেলে বিছানায় শুয়ে পড়ছে। আর শোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গভীর ঘুম। এই সময়টুকুতে আদিবার প্রতি এতোটুকু মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছে না তৌফিক। সারাদিন কাজের চাপে বাসায় একবারও ফোন করছে না সে। আদিবা ফোন করলে হাই-হ্যালো বলে একটু পর ফোন রেখে দিচ্ছে। আদিবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। তবে কি আজকাল তৌফিক সীমার সাথে আবারো মিশছে? পুরোনো প্রেমিকাকে কি সে এখনও ভুলতে পারছে না?

গেজেট রাখুন পরিষ্কার

শুধু কম্পিউটার, ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন কিংবা মিউজিক পেস্নয়ারই নয়, গ্যাজেটও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। তাহলে জেনে নিন কিভাবে পরিচ্ছন্ন রাখবেন_

০০ কম্পিউটারের মনিটর পরিষ্কার করার জন্য অল্প ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন। কম্পিউটারের ইলেকট্রিক ওয়্যার পরিষ্কার করার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের হোস অ্যাটাচমেন্ট ব্যবহার করা ভালো। এলসিডি স্ক্রিন পরিষ্কার করার জন্য নরম, শুকনো সুতির কাপড় ব্যবহার করুন। নন-এলসিডি স্ক্রিন পরিষ্কারের জন্য নরম একটি কাপড় হাতে নিন। তারপর পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। কিবোর্ড উল্টে রাখুন। তারপর সুতির মোটা কাপড় সামান্য রাবিং অ্যালকোহলে ডুবিয়ে নিয়ে কিবোর্ড পরিষ্কার করুন। কম্পিউটার স্ক্রিন পরিষ্কার জন্য হাউসহোল্ড গস্নাস ক্লিনজার ব্যবহার করবেন না।