RSS

Thursday, January 28, 2010

 শীতও কাটে ফ্যাশনও হয়

এবার শীত পড়েছে বেশ। তার সঙ্গে কনকনে বাতাস বলে দিচ্ছে একে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। শীতে গরম পোশাক পরতে হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এখনকার তরুণেরা এ কথা মেনে বিভিন্ন গরম পোশাকের ব্যবহারের পাশাপাশি এসবে এনেছে বৈচিত্র্য। আর এতে কিছুটা ফ্যাশনের ছোঁয়া থাকবে না, তা কি হয়?
এখন তরুণেরা পোশাকের সঙ্গে গলায় পেঁচিয়ে দিচ্ছে মাফলার। দিনে দিনে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। নিউমার্কেট থেকে ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিহান কিনছিলেন এমন মাফলার। কেন কিনছেন, জানতে চাইলে বলেন, প্রথমত শীত থেকে বাঁচতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশনের দিকটিও ঠিক থাকছে। দুটি কাজই একসঙ্গে মন্দ কী!
ফ্যাশন ডিজাইনার শাহরুখ শহীদ জানালেন, মাফলার ব্যবহারের রীতিটা বেশ পুরোনো। তবে ভিন্ন আঙিকে হলেও এখন তরুণদের ফ্যাশনে এর ব্যবহার বাড়ছে। শীতে এটি দারুণ উপকারী। ছেলেদের ক্ষেত্রে চোখে ধরে কম, এমন রঙের মাফলারই বেশি মানানসই। কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে, মাফলারটি যেন মসৃণ কাপড়ের তৈরি হয়। তা না হলে, গলায় খসখসে ভাব অনুভূত হবে। বেশিক্ষণ পরে থাকতে ইচ্ছা করবে না। কেমন করে এর ব্যবহার করবেন, তা জানালেন শাহরুখ শহীদ।

হাত ও পায়ের যত্ন

শহরের কর্মব্যস্ত মানুষের কি আর শীতের হিম হিম হাওয়া, ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশা ঘরে বসে উপভোগের
সময় আছে? একদম নেই। তাই তো আদুরে কম্বল আর বিছানা ছেড়ে ছুটতে হয় নিজ নিজ কাজে।
আর ঘরের বাইরে বের হলেই টের পাওয়া যায় শীতের কত দাপট! তাই বলে কিন্তু বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে
হাত বাড়িয়ে দিতে ভুল হয় না কারও। কিন্তু বন্ধুর দিকে বাড়িয়ে দেওয়া হাতটা শীতে রুক্ষ আর
খসখসে হয়ে উঠেছে কি না খেয়াল করেছেন? শুধু হাত নয়, যে দুটো পায়ের ওপর দিয়ে আমরা পাড়ি
দিচ্ছি পথ, শীতে সে পায়েরও চাই বাড়তি পরিচর্যা।

শীতে পোশাকের যত্ন

শীতের সময় ব্যবহূত পোশাকগুলোর নিয়মিত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, শীতের পোশাকগুলো বছরের দুই-তিন মাসই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তারপর আবার এই পোশাকগুলোর স্থান হয় আলমারি বা স্টোরে। সঠিক উপায়ে যত্নের মাধ্যমে পোশাকগুলো দীর্ঘদিন কীভাবে পরার উপযুক্ত রাখা যায়, এ বিষয়ে জানালেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ের বস্ত্র ও পরিচ্ছেদ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা হক।

 বাড়ি বদল সহজেই

নতুন বছরে অনেকে বাড়ি বদল করেন। নতুন বাসা খোঁজা, জিনিসপত্র স্থানান্তর, নতুন বাসায় আবার গোছানো, টেলিফোন, ডিশ লাইনের ব্যবস্থা ইত্যাদি ঝামেলা এসে দাঁড়ায় সামনে। বেশ কয়েকবার বাসা বদল করেছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তাই জানানো হলো বাড়ি বদলের সময় কী করতে হবে।

 শীতে মেঝেতে কার্পেট

শীতে পোশাক-পরিচ্ছদের পাশাপাশি গৃহসজ্জাতেও এসেছে খানিকটা পরিবর্তন। বাড়ির মেঝের ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে ধানমন্ডির বাসিন্দা ফারহানা আলম এসেছেন রাজধানীর অন্যতম কার্পেটের মার্কেট এলিফ্যান্ট রোডে। তিনি বলেন, শীতকালে কার্পেট বেশ আরামদায়ক। এ ছাড়া গৃহসজ্জায় একটি ভিন্নমাত্রা এনে দেয় কার্পেট। আর তাই কার্পেট কিনতে আসা।

 সালাদ, তবে খাবারও বটে

শীতে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে রকমারি সবজি ও ফল। এ সময় সালাদ না খেলে কি হয়। দেখুন শাহানা পারভীনের দেওয়া সালাদ তৈরির প্রণালি।
ডিম-আলুর সালাদ
উপকরণ: সেদ্ধ ডিম দুইটি, সেদ্ধ আলু চারটি (চারকোনা করে কাটা), পেঁয়াজ

কুচি দুই টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি দুইটি, পালং পাতা এক আঁটি, সেদ্ধ গাজর

একটি, টমেটো একটি, মেয়োনেজ দুই টেবিল চামচ, বাদাম এক টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ভিনেগার এক টেবিল চামচ।
প্রণালি: পালং পাতা ভাপ দিয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ কুচি ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ডিম টুকরো করে নিন। প্রথমে সার্ভিং ডিশে পালং পাতা সাজিয়ে ওপরের সব উপকরণ দিয়ে মেখে গুঁড়া করা বাদাম ছিটিয়ে পরিবেশন করা যায়।

 স্নিগ্ধ ঠোঁটে বর্ণিল সাজ...

শীত মানে যেমন ধূসর রংহীন রুক্ষ প্রকৃতি, তেমনি শীতের সাজ মানে বর্ণিলতা। সেই সাজের ছোঁয়া লাগে স্নিগ্ধ ঠোঁটের মিষ্টি হাসিতেও। কিন্তু ঠোঁট যদি হয় ফাটা আর সাজ যদি না হয় সঠিক, তবে তো সবই মাটি।
ঠোঁটের নানাবিধ সাজ ও যত্ন সম্পর্কে বলেছেন রূপবিশেষজ্ঞ নাহিন।
শীতে ঠোঁটের সাজ
নাহিন বলেন, শীতকালে ঠোঁট শুকনো থাকে বলে ম্যাট লিপস্টিক কম ব্যবহার করে লিকুইড ও গ্লস লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত। যাঁরা সবস ময় ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করে অভ্যস্ত, তাঁরা ম্যাট লিপস্টিকের ওপর হালকা গ্লস লাগাতে পারেন।
ঠোঁট ভারী বা মোটা হলে এ নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেকে। নাহিন বলেন, ঠোঁট মোটা হলে লিপলাইনার দিয়ে চিকন করে আগে এঁকে নেবেন। তারপর ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করে এর ওপর হালকা গ্লস দিতে পারেন। গ্লস বেশি লাগালে ঠোঁট বেশি ফোলা দেখায়। চিকন বা পাতলা ঠোঁটের অধিকারীরা ঠোঁটকে একটু মোটা ধাঁচে এঁকে নিয়ে গ্লস লিপস্টিক লাগিয়ে নিতে পারেন। তিনি আরও বলেন, লম্বাটে ধরনের মুখ যাঁদের, তাঁরা ঠোঁটকে গোল আকৃতির করে এঁকে নেবেন এবং ভারী মুখ যাঁদের, তাঁরা ভি-আকৃতির করে এঁকে নিতে পারেন।

Friday, January 22, 2010

চাওমিনের স্বাদে

ভাতের বিকল্প হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাওমিন বা নুডলস ব্যাপক জনপ্রিয়। উন্নত বিশ্বে এই চাওমিন প্রধান শর্করা সরবরাহকারী খাবার হিসেবে পরিচিত। আমাদের দেশে খুব ধীরগতিতে হলেও জনপ্রিয় হচ্ছে এই চাওমিন। চাওমিনের কিছু মজার রেসিপি নিয়ে এ সপ্তাহের রেসিপি বিভাগ। রেসিপিগুলো দিয়েছেন রিমিক্স বিউটি পার্লার এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার আফরিনা শিপন আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

Thursday, January 21, 2010

ঘরের কাজে স্বামীর ভূমিকা

একটা সুন্দর দাম্পত্য সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই রাখতে হয় সমান ভূমিকা। যদিও পুরুষশাসিত সমাজে প্রায়শই দায়িত্বের বাড়তি দায় চাপে ঘরকন্যার দায়িত্ব সামলানো স্ত্রী’র উপরই। তবে সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রায় যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনি পরিবর্তন এসেছে দৃষ্টিভঙ্গিতেও। আর পরিবর্তিতে এই জীবনযাত্রাকে মসৃণ করে তুলতে প্রথাগত ধারণার বাইরে বেরিয়ে সঠিক দায়িত্ব পালনের দায় রয়েছে স্বামীদেরও। সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে এই কথাটি যেমন সত্যি তেমনি স্বামীরও দায়িত্ব আছে সংসারকে সুখী করে গড়তে। সংসারকে গুছিয়ে তুলতে স্বামীর ভূমিকা নিয়েই আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদন। লিখেছেন হাসান মাহমুদ

চটজলদি মুশকিল আসান

আমাদের নিয়মিত নতুন আয়োজন সমস্যার সমাধান। প্রতিনিয়ত রূপচর্চা বিষয়ক নানা সমস্যার চিঠি আমাদের দপ্তরে এসে পৌঁছে। পাঠকের সেই সমস্যাগুলোর সহজ কিছু সমাধান দিতেই আমরা কথা বলেছি রূপ বিশেষজ্ঞদের সাথে। আমাদের এবারের আয়োজনে থাকছে তেমন কিছু সমস্যার সমাধান। এবারের সমাধান দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ ও স্কিন সলিউশন বিউটি সেলুনের স্বত্বাধিকারী লায়লা খায়ের কনক

অফিস ওয়ার্ক আউট

অফিসের কাজের চাপে যখন ক্লান্তিভাবটা আপনাকে জেঁকে ধরেছে তখন কিছু ওয়ার্ক আউট আপনাকে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে। এ ধরনের ওয়ার্ক আউট খুব সহজে চটজলদি করে নেয়া যায় আর শরীরকে ঝরঝরে করে কাজে ফিরে আসা যায় দ্রুত। এমনই কিছু ওয়ার্ক আউট প্লান নিয়ে এ সংখ্যার ফিটনসে

ঝটপট মেকআপ

প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সময়কে নিয়ন্ত্রণ করে চলতে হয় সবার। সময়ের সেই বল্গা হরিণকে পোষ মানাতে হয় প্রতিটি ক্ষেত্রে। তাই কোনো পারিবারিক আয়োজনে কিংবা অফিস যাত্রায় নিজেকে প্রস্তুত করতে হয় দ্রুত সময়ে। সময়ের সেই বেড়াজালে নিজের সৌন্দর্যকে আরো শাণিত করতে চাই এমন কিছু টিপস্ যা আপনার রূপ সৌন্দর্যের প্রকাশকে ত্বরান্বিত করবে সহজ উপায়ে। আমাদের আজকের আয়োজনে থাকছে সেই দিকগুলো নজর রেখে সহজাত কিছু ট্রিকস।

Wednesday, January 20, 2010

 ফুলকপির কয়েক পদ

ফুলকপি এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। তবে শীতের ফুলকপির স্বাদই আলাদা। দেখে নিন জিনাত নাজিয়ার দেওয়া রান্নাগুলো।

ফুলকপি ও রুই মাছের ঝোল
উপকরণ: রুই মাছ ৮ টুকরা। ফুল কপির ফুল ৮-১০টি। পেঁয়াজ বাটা দুই টেবিল চামচ। রসুন বাটা এক চা চামচ। হলুদ ও ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ করে। মরিচ গুঁড়া ঝাল অনুযায়ী। টমেটো কুচি একটি। তেল এক কাপ। পানি প্রয়োজনমতো। জিরা গুঁড়া এক চা চামচ। কাঁচা মরিচ চারটি। ধনেপাতা সামান্য।

Monday, January 18, 2010

হালফ্যাশনে হুডি

কনকনে ঠান্ডা বাতাস বইছে। কানের ভেতর দিয়ে পৌঁছে যেন অবশ করে দিচ্ছে মাথা। কানঢাকা টুপি পরা ছাড়া গতি নেই। শীত তাতে মানে। কিন্তু জিনিসটা তো বড্ড সেকেলে। ফ্যাশনেবল না হলে কি আর তা পরা যায়? এর সমাধান হুডি। জ্যাকেট বা সোয়েটারের শুধু হুডটা টেনে মাথা ঢেকে নেওয়া। দেখতেও দারুণ। ব্যস আর কী চাই। হুড পরা তরুণ-তরুণীর সংখ্যা তাই বাড়ছেই।
হুডি কেন পরা হয় এর উত্তর বোধহয়—ফ্যাশন আর শীতে আরাম। অভিনয়শিল্পী সজলও তা-ই মনে করেন, ‘যেকোনো পোশাকের চেহারা বদলে যায় শুধু হুড যোগ করার ফলে। আর শীতে তো এটা দারুণ কার্যকর। এমনকি গরমেও আমি হুডসহ শার্ট পরতে পছন্দ করি। একটু ভিন্ন রকম ক্যাজুয়াল ভাব আসে তাতে।’

শীতের পুরুষ সমগ্র

প্রকৃতির পালাবদলে শীত বহু আগেই তার আগমনী ধ্বনি জানিয়ে গেছে আমাদের। তবে এবারের শীতটা যে এতোটা জাঁকিয়ে বসবে সেটা অনেকের ভাবনাতেই ছিল না। আর তাই শীতের এই সময়টায় তাপমাত্রা যতো কমছে শীত পোশাকের প্রয়োজনীয়তাটাও যেন ততোটাই বাড়ছে। কড়চা’র এবারের আয়োজনে তাই জানিয়ে দেয়া হলো পুরুষদের জন্য হাল ফ্যাশনের কিছু শীত পোশাকের কথা।

স্টাইলের পূর্ণ আয়োজন

শহুরে মানুষদের আভিজাত্যের গড়ন দেখে অনুমান করা যায় এ শহরে ফ্যাশনেবল মানুষদের দৌরাত্ম প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে। ফ্যাশন বুঝি এখন গণমানুষের। পুরুষ কিংবা নারী যুবক কিংবা পৌঢ় সবাই ফ্যাশনের প্রতি ঝুঁকছেন প্রতিনিয়ত। ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান ফ্যাশন হাউসগুলো ছাড়াও প্রতিনিয়তই তৈরি হচ্ছে ফ্যাশনের নতুন নতুন চমক। শহরে মানুষদের এই ফ্যাশনপ্রীতি প্রভাবিত করছে এদেশের ফ্যাশন শিল্পে জড়িতদেরকেও। তাই শহরময় গড়ে উঠছে নতুন নতুন ফ্যাশন হাউজ। এসব ফ্যাশন হাউজ এখন আর শুধু ফ্যাশনের কোনো বিশেষ অংশকে নিয়েই নয়, বরং ফ্যাশনের প্রায় সবগুলো বিভাগকেই ছুঁয়ে যায়। ঢাকার গুলশানে গড়ে উঠেছে এমনি একটি পূর্ণাঙ্গ ফ্যাশন হাউজ। এক ভবনে নিচতলা-দোতলা মিলে গড়ে উঠা এ ফ্যাশন হাউজটির নিচের অংশটি ফরচুনা আর উপরের অংশটি মানসা। ফরচুনা গ্রুপের এই ফ্যাশন আউটলেট নিয়েই আমাদের এবারে স্টাইলশপ। লিখেছেন এমএইচ মিশু।

শীতের সবজির: ভিন্ন রূপ

শীতের দিনে আমাদের দেশে পাওয়া যায় নানান রকমের সবজি। এখন অবশ্য এসব সবজি সারাবছর পাওয়া গেলেও তখন দামের পার্থক্যটা খুব বেশি থাকে। তাই এই সিজনে বাদবাকি খাবারের তুলনায় সবজি উপভোগ করুন প্রতিদিন। সবজির কিছু ভিন্ন ধরনের রেসিপি নিয়ে আমাদের এবারের কড়চা রেসিপি। রেসিপিগুলো দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার আফরোজা জামান আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

চিকেনের মজা

অভিজাত পাড়ার ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে আভিজাত্যের ছোঁয়া থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ফাস্ট ফুডের দোকানে গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা পাওয়া, এমনকি ছোট সোনামনিদের জন্য খেলার জায়গা করে দেয়া আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। এমনই কিছু বিশেষ সুবিধা নিয়ে এবং বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে নিরিবিলিতে আড্ডা দেয়ার জন্য গুলশান-২ এ গড়ে উঠেছে ফরচুনা ফ্রাইড চিকেন লিমিটেড বা এফএফসি গুলশান। নান্দনিকতার ছোঁয়ায় উন্নত সেবা দান করতে এফএফসি ইতিমধ্যেই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের এবারের ফুডজোনে উঠে এসেছে এফএফসি গুলশান-এর নানা দিক।

ছবি আঁকার জিনিসপত্তর

আঙ্কেলের সাথে ঘুরতে এসেছে ছোট অপু। ঘুরতে আসার পিছনে তার একটা উদ্দেশ্য আছে। উদ্দেশ্যর কথা তার আঙ্কেল জানে না। যখন অপু আর আঙ্কেল নিউমার্কেট আসলো তখন সে বায়না ধরলো তাকে রঙ পেন্সিল কিনে দিতে। কিনে না দিলে সে বাসায় যাবে না। অপুর আঙ্কেল খুশি মনে তাকে রঙ পেন্সিল কিনে দিলো। বর্তমানে দেশের প্রায় স্কুলেই ‘চারুকারু শিক্ষা’ বিষয় অন্তর্ভুক্ত। বাচ্চাদের প্রয়োজনে কিংবা আনন্দদানের জন্য হোক এখন প্রায় সব বাবাই চান তাদের বাচ্চারা যেনো ছবি আঁকে। চারুকলার শিক্ষার্থীরা ছাড়াও শৌখিন শিল্পীরা বিভিন্ন সময় ছবি এঁকে থাকেন, পেন্টিংয়ের পূর্বশর্ত যেমন ড্রইং, তেমনি ছবি আঁকার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। ছবি আঁকার উপকরণগুলো কী কী, এসব কোথায় কোথায় পাওয়া যায় তার দামই বা কেমন আসুন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অনিদ্রায় যখন বসবাস

কর্মক্লান্ত দিন শেষ হবে ছয় থেকে আট ঘণ্টার টানা একটি ঘুমের সহায়তায়, এটাইতো স্বাভাবিক। কিন্তু স্বাভাবিক এ বিষয়ই অনেকের কাছে অস্বাভাবিক বা দুর্লভ হয়ে পড়েছে আজকাল। দু’চোখের পাতা এক করার ব্যর্থ চেষ্টাতেই যেন কেটে যায় আস্ত রাত। ডাক্তারি ভাষায় এ ধরনের সমস্যাকে বলে ‘ইনসমনিয়া’। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, গোটা পৃথিবীতেই ইনসমনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অনিদ্রা রোগের পেছনের কারণ কী তা নির্দিষ্ট করতে অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খালি চোখে কোনো কারণ দেখা না গেলেও ইনসমনিয়া দোষে দুষ্ট অর্থাৎ অনিদ্রায় ভুগছেন অনেকেই। মনোবিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে, আমাদের পারিপার্শ্বিক ভুবন যত জটিল হচ্ছে সেই জটিলতা ততই প্রবেশ করছে চেতন বা অবচেতন মনের কুঠরীতে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে নানা সমস্যার। অনিদ্রা এ ধরনের সমস্যারই দৃষ্টান্ত মাত্র।

বসতির স্নিগ্ধতা

ঘরের মাঝে এক চিলতে স্নিগ্ধ আলো। জানালা গলে চুইয়ে পড়া রোদ আর স্পট লাইটের দেয়াল ঘেষা আলো। এমন স্নিগ্ধ এক প্রতিরূপ যেনো স্বর্গতুল্য কোনো বসতি। এসপ্তাহে কড়চার মুলফিচারে উঠে এসেছে এমন ঘরেরই আদ্যপান্ত। লিখেছেন ও ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

সেই গুহায় বসবাস থেকে সব সময়ই মানুষ নিজের বসতবাড়ি তৈরিতে যতœশীল। তাইতো প্রতি নিয়ত তৈরি হচ্ছে নানান রকম আর্কিটেক্ট ফার্ম আর ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং হাউজ। নিজের ঘরটাকে পুরোপুরি পছন্দ আর অভিরুচিতে সাজাতে মানুষ কত রকম প্রচেষ্টাই না চালায়। তবে ঘরকে নিজের মতো করে সাজাতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ হলো ঘরের রঙ নির্বাচন। এরপর একে একে আসবে ঘরের আসবাব বিন্যাস আর ঘরের বারান্দা, জানালা, দরজার নানান আয়োজন।

Monday, January 11, 2010

 কোটি ফ্যাশন

শীতকালে অনেকেই গলায় মাফলার পেঁচিয়ে রাখেন। এই পেঁচিয়ে রাখার মধ্যেও আবার অনেকে একটু কায়দা করেন। মাফলারের রং উপকরণেও থাকে বৈচিত্র্য। ঠিক তখনই মাফলারটাও হয়ে ওঠে ফ্যাশনের অনুষঙ্গ। শীতকালে এমন বাড়তি কাপড় দেখাই যায়। যদিও শীত নিবারণটা মুখ্য উদ্দেশ্য, তবু পোশকটা হওয়া চাই ফ্যাশনেবল। তেমনই একটি পোশাক কোটি।
সালোয়ার-কামিজ তো বটেই, শাড়ির সঙ্গেও অনেকে পরেন কোটি। শীত যেমন কাটে, ফ্যাশনের কায়দাটাও এতে হয় ভালোভাবেই। কোটির ধরন-ধারণে পরিবর্তন মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। তবে আমাদের শীত-পোশাকে নানাভাবে ঘুরেফিরে আসে কোটি। এই শীতেও এসেছে নতুন রূপে, আভিজাত্য নিয়েই।

শীতের বিকেলে...

শীত মানেই গরম খাবার চাই। শীতের বিকেলে চলতে পারে এক বাটি স্যুপ বা এক কাপ চা। তবে সঙ্গে থাকা চাই টা-ও। দেখে নিন নাসরিন আলমের দেওয়া রান্নাগুলো।

মসালা চা
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, পানি দেড় কাপ, এলাচি-খোসা ৪টা, থাই পাতা ২টা, আদাকুচি ১ টেবিল-চামচ, চিনি ৪-৫ চা-চামচ, মৌরি ১ চা-চামচ, দারচিনির গুঁড়া ১ চা-চামচ। চা-পাতা ৫ চা-চামচ।
প্রণালী: বড় পাত্রে ওপরের সব উপকরণ (চা-পাতা ছাড়া) একসঙ্গে মিলিয়ে চুলায় দিয়ে ২-৩টা বলক তুলে নিতে হবে। এখন চা-পাতা দিয়ে নেড়ে আবার ২-৩টা বলক তুলে চুলা বন্ধ করে ঢেকে রাখতে হবে। পাঁচ মিনিট পর ছেঁকে গরম গরম পরিবেশন।

 শীতে চুলের যত্ন

‘সৌন্দর্যের সার্বিক প্রকাশ ঘন কালো চুলের মসৃণতায়। চুলের এ মসৃণতা ধরে রাখতে শীতের শুরু থেকেই চাই বিশেষ পরিচর্যা। নয়তো শীতের রুক্ষ প্রকৃতি আমাদের চুলও করে তুলবে রুক্ষ।’ বলছিলেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। শীতে চুলের নানা সমস্যা ও এর যত্ন-আত্তি নিয়ে শুনুন তাঁর কাছে।

স্কুলের ব্যাগটা বড্ড ভারী...

শেষ হয়েছে ভর্তিযুদ্ধ। নতুন শ্রেণীর ক্লাসও শুরু হয়েছে বা হয়ে যাবে।
নতুন বই পেয়ে উত্সাহ নিয়ে শিশুরা শুরু করেছে লেখাপড়া। কিন্তু এই রেশটা বেশি দিন থাকে না। কেননা, সারা বছরের পড়ার চাপে অনেক শিশুই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। স্কুলের প্রতিও অনীহা প্রকাশ করে। বেশির ভাগ শিশুর ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটে। ফলে শিশুরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শিশুর পড়াশোনার ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে, তবে কখনোই শিশু যেন বেশি চাপ বোধ না করে। বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করেন।

Monday, January 4, 2010

 বৌভাতের সাজপোশাকে স্নিগ্ধতা

বিয়ে বা বৌভাতের শাড়ি নিয়ে আলাদাভাবে বলার কোনো অবকাশ নেই। দুই অনুষ্ঠানে শাড়ির কাজ একই রকম হবে। তবে মাথায় রাখতে হবে এ ক্ষেত্রে রঙের বিষয়টিকে। বিয়ের শাড়ি লাল, জাম রং বা রানি রং হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে বৌভাতে লাল রংটা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। বরং সাদা, চাঁপা, সাদা-গোলাপি, হালকা বেগুনি—এ ধরনের রংগুলোতে কনেকে অনেক বেশি স্নিগ্ধ দেখাবে।

 তোমায় নিমন্ত্রণ...

বিয়ের আয়োজনকে আরও উত্সবমুখর করতে সেদিন সবাই বিয়ের অনুষ্ঠানে আত্মীয়স্বজনকে পাশে রাখতে চায়। তা ছাড়া বিয়েতে বর-কনের জন্য আশীর্বাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমন্ত্রিত আত্মীয়স্বজন বর-কনেকে আশীর্বাদ করে থাকেন। আর এ কারণেই তাঁদের নিমন্ত্রণ বা দাওয়াত দেওয়া হয়। একটা সময়ে আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত দেওয়া হতো মুখে মুখে। কিন্তু এখন শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত সব জায়গায়ই কার্ড বা দাওয়াতপত্রের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিয়ের দাওয়াতপত্র বর্তমানে এক ধরনের ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।

ঝক্কি সামলাবে যারা

মিলির বিয়ে ঠিক হয়ে গেল মাত্র দেড় মাসের মধ্যে। বিয়ের এত কেনাকাটার মধ্যে অনুষ্ঠান সাজানো, স্থান ঠিক করা, গানের আসর বসানোর ঝক্কি-ঝামেলায় ওর যেন নাভিশ্বাস! তবে কি মনের কোণে লুকানো স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যাবে? পরে অবশ্য মিলির ইচ্ছাপূরণ হলো ষোলআনা। মিলি ওর হলুদে এসেছে বর্ণিল ঢাকাই রিকশায় চড়ে। ওর হলুদের অনুষ্ঠান যেন পুরোটাই একটা গ্রামের মেলা। সবার পোশাকেও গ্রামীণ ছোঁয়া।

 বিয়ের সানাই বাজল রে...

বিয়ে হচ্ছে পরিবার গঠনের প্রথম ধাপ। আর এখন চলছে বিয়ের মৌসুম। চারদিকে বাজছে বিয়ের বাজনা। এই বিয়ে নিয়েই আছে অনেক আচার-প্রথা। প্রতিটি আচার-প্রথারই আছে আবার নানা রকম আয়োজন। এবার জেনে নেওয়া যাক বিয়ের সেই সব আচার-প্রথার সাতকাহন।
ফুচকাবিলাস
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ফুচকা, পিঠা কিংবা ঝালমুড়ির দোকান একটি ভিন্ন ধরনের আবহ তৈরি করে। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানস্থলের কোনো এক কোণে দোকানদার তার পসরা সাজিয়ে বসে আর অতিথিরা যাঁর যাঁর মতো সেসব কিনে খান। এ রকম ফুচকা, পিঠা এবং ঝালমুড়ির দোকান দিতে চাইলে যেকোনো ফুচকা, পিঠা কিংবা ঝালমুড়িওয়ালাকে অতিথির সংখ্যাসহ একদিন আগে বলে রাখলেই হবে। তাদের তেমন কোনো চাহিদা থাকে না। সারাদিন তারা যা বিক্রি করবে তার ওপর অল্প কিছু বকশিশ দিলেই তারা খুশি।

আনন্দ মুহূর্তের নান্দনিক ছবি

বিয়ের মুহূর্তটি সবার জীবনের একটি বিশেষ পাওয়া। এ স্মৃতি ধরে রাখতে কে না চায়। এই মুহূর্তগুলো বাঁচিয়ে রাখার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো ছবি বা ভিডিও। আগামী দিনগুলোয় স্মৃতির পাতা হাতড়ে যেন বিয়ের মুহূর্তগুলো ফিরে পাওয়া যায় ছবি বা ভিডিওতে—এর জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে বিয়ের সময়। বিয়ের ছবিগুলো নিপুণ যত্নে আপনার হাতে পৌঁছে দিতে পারে একজন ভালো চিত্রগ্রাহক। বললেন, বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি তোলে এমন একটি প্রষ্ঠািন ওয়েডিং চ্যাপেলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও চিত্রগ্রাহক সুমন ইস্যু।

 মেকআপ তোলা

অনুষ্ঠান শেষে মেকআপ তোলা আর বাঁধা চুল খোলা সব কনের কাছে এক ভয়াবহ সমস্যা! সহজ সমাধান বাতলে দিলেন ফারজানা আরমান—আজকাল ভারী মেকআপ তেমন করা হয় না। হালকা মেকআপ হলে তুলায় বেবি অয়েল বা বেবি লোশন দিয়ে মুখের বেইজ মেকআপটা তোলা যাবে। একটু কড়া মেকআপ মুছতে ক্লিনজিং মিল্ক তুলায় লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। চোখসাজটা একটু ভারী হয়েই থাকে, সে ক্ষেত্রে ‘আই মেকআপ রিমুভার’ ব্যবহার করাটাই শ্রেয় এবং অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের সব প্রসাধন ব্যবহার করতে হবে।
স্প্রে করে বাঁধা চুল ছাড়াতে প্রথমে চুলে ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে মোটা দাঁতের চিরুনিতে জটটা আলতোভাবে ছাড়িয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করুন। একটু বেশি করে কন্ডিশনার লাগিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট রাখুন। পরে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন।

 বউসাজের সাতকথা

হলুদবরণ সাজে যে শ্রেষ্ঠা, লাজরাঙা কনেসাজে যে রাজেন্দ্রানী—সে যে বিয়ের কনেটিই! জীবনের এই মাহেন্দ্রক্ষণটিতে কোনো মেয়েই না চায় অদ্বিতীয়া হতে? আর তাই কন্যাদের চাই সেরা কনেসাজ। চাই নিজেকে অপরূপা করতে খানিকটা বাড়তি যত্ন-আত্তিও।
ইচ্ছেটা তো ষোলআনা, সময়টা কম। এ যুগের শশব্যস্ত মেয়েদের চাকরির ছুটিতে, পড়াশোনার কয়েক দিনের অবসরে চটপট সারতে হচ্ছে বিয়ের কাজটুকু। আবার নিজের বিয়ের বাজার থেকে শুরু করে মঞ্চের ফুলসজ্জার তদারকি—সব কাজেই দিনমান দৌড়ঝাঁপ এখন কনেরাই করছে। এই ঠাসবুনোট কর্মতালিকায় সব কনের অপ্সরী হওয়ার ইচ্ছে পূরণের সুযোগটা করে দিচ্ছে বিউটি পারলার। কনের পূর্ণাঙ্গ সৌন্দর্যবর্ধনে পারলারগুলোয় এখন থাকে ব্রাইড বা কনের জন্যই বিশেষ ‘ব্রাইডাল প্যাকেজ’।

বর-কনের বাহারি বাহন

পালকি চড়ে বউ আসবে, ঘোড়ার গাড়িতে করে বর। অথবা এসব কিছু নয়, একদম আধুনিক কায়দায় বর-বউ যাবে ফুলের সাজে সাজানো গাড়িতে চড়ে। যেটাই হোক না কেন, আগে জানা থাকা চাই এসব বাহন কোথা থেকে, কিভাবে যোগাড় করা যাবে।

ঘোড়ার গাড়ি
অনেকেই বিয়ের অনুষ্ঠানে আভিজাত্য আর বৈচিত্র্যময়তা প্রকাশ করতে চায়। বিয়ের আয়োজনকে একটু ভিন্ন ও আকর্ষণীয় করে তুলতে ঘোড়ার গাড়ি বা টমটম ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্য বাহনের মতো ঘোড়ার গাড়ির ভাড়াও দূরত্বের ওপর নির্ভর করে। দূরত্ব কমবেশির ওপর ভাড়া কমবেশি হয়। ঢাকার মধ্যে সারা দিনের জন্য ঘোড়ার গাড়ির ভাড়া তিন থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে। যদি একটু দূরের পথ হয় তবে ভাড়া কিছুটা বেশি দিতে হবে।
ঘোড়ার গাড়ির ভাড়া পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকা। ঘোড়া ও গাড়ি আলাদাভাবে সাজাতে পারেন। সাজাতে খরচ পড়বে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা। আর যদি নিজে সাজানোর ঝামেলা নিতে না চান, তবে ভাড়ার সঙ্গে সাজানোর খরচ যোগ করে দিলেই পেয়ে যাবেন সুন্দরভাবে সাজানো ঘোড়ার গাড়ি।

হলুদ উৎসবের তত্ত্ব তালাশ

বিয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আর মজার দিক হলো গায়ে হলুদ। যত তোড়জোড় সবই থাকে এই হলুদবরণ উত্সবকে ঘিরে। কেননা বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে এবং কনের বাড়ি থেকে বরের বাড়িতে হলুদের তত্ত্ব পাঠাতে হয়। সেই তত্ত্ব দিয়েই সাজানো হয় বর-কনেকে। তাই তো গায়ে হলুদের দিন আগেই এসব সাজাতে বসে যান সবাই। কেউ ডালা-কুলা, কেউ বা সুন্দর মোড়কে মুড়িয়ে দিচ্ছেন উপহারসামগ্রী। অনেকে হাঁড়িতে রং করান। এসব হাঁড়ি হলুদের মঞ্চে, মিষ্টির পাত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আগের মতো সুটকেসে করে তত্ত্ব পাঠানোর রীতি কমে গেছে। বিয়ের সামগ্রীগুলোও এখন হলুদের তত্ত্বের সঙ্গেই পাঠানো হয়। সে জন্যই এখন এই তত্ত্ব সাজানোই শিল্পে রূপ নিয়েছে। বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব আনার জন্য শুরু হয়ে যায় প্রতিযোগিতা।

মধুচন্দ্রিমায়...

শীতের আমেজ থাকতেই নবদম্পতিরা কোথাও গিয়ে মধুচন্দ্রিমা সেরে আসতে পারেন। ঘুরতে যাওয়ার জন্য শীতের সময়টার আলাদা একটা আবেদন আছে। বাংলাদেশে বেড়ানোর জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। সুন্দরবন, কক্সবাজার, পাহাড়পুর, মহাস্থানগড়, দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী, রামসাগর, তেঁতুলিয়া, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, রাঙামাটি, বান্দরবান, চিম্বুক পাহাড়, সেন্ট মার্টিন, সিলেটের চা-বাগান, মাধবকুণ্ডের ঝরনা, জাফলং, জৈন্তা, খাসিয়াপল্লি—এসব জায়গায় অথবা আপনার পছন্দের যেকোনো জায়গা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন। জেনে নিন বিভিন্ন পর্যটন-প্রতিষ্ঠানের কী ভ্রমণ প্যাকেজ রয়েছে মধুচন্দ্রিমা সামনে রেখে। নবদম্পতির জন্য নানা বিশেষ আয়োজনও করে থাকে তারা।

এবার নিন খাবারের খোঁজ

বিয়ের কথা ভাবলেই চিন্তা করতে হয় খাবারের কথা। বিয়ের আয়োজনের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে অতিথি আপ্যায়নে খাবারের মানের ওপর। বিয়ের আয়োজন স্মরণীয় করে রাখতে চান সবাই। আর সে জন্য খাবারের মান ভালো হওয়া চাই সবার আগে। ভালো খাবারের জন্য চাই ভালো মানের বাবুর্চি। খাবার সরবরাহ করায় সুনাম আছে এমন কিছু বাবুর্চির খাবার নিয়ে এবারের আয়োজন বিয়ের খাবার।

বিয়েতে বর বরেণ্য

বিয়ে মানেই কনেদের সাজ-পোশাক ও রূপচর্চার ধুম। তবে আজকাল বরও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জমকালো পোশাকের সঙ্গে তাদের আজকাল দেখা যায় রূপসচেতন হতে। নকশার এ অংশে থাকছে বরের বিয়ের অনুষ্ঠানে পোশাকের বিভিন্ন ধরন, রূপচর্চাসহ এসবের খোঁজ।
বিয়ের অনুষ্ঠান সার্থক করার জন্য পরিকল্পনাই সহায়ক। বললেন, কে ক্র্যাফটের উদ্যোক্তা খালিদ মাহমুদ খান। বাংলাদেশে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। কেবল একটু সময় ও সুষ্ঠু পরিকল্পনাই পারে সবকিছু বাজেটের মধ্যে রেখে আপনার জীবনের এই বড় ঘটনাটি আনন্দঘন করতে।

যদি বউ সাজো গো...

বিয়ের সাজটা কোথায় করানো হবে এ নিয়ে চিন্তায় পড়েন অনেকেই। এখানে খোঁজ দেওয়া হলো কিছু বিউটি পার্লারে এবং সেখানে বউসাজের খরচ সম্পর্কে। এসব বিউটি পার্লারে একসঙ্গে গায়ে হলুদ, বিয়ে, বৌভাত এ রকম কয়েকটি অনুষ্ঠানের জন্য সাজা যাবে। আবার যেকোনো একটি অনুষ্ঠানেও সাজা যাবে।

বধূর রাঙা হাত

একটু ভালো লাগা, কিছুটা কষ্ট, একটু আনন্দ, ভয় আর অনেক আশা। এ রকম অনুভূতির মধ্য দিয়েই পার হয় প্রতিটি মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। একটু একটু যত্ন করে করা খুঁটিনাটি সাজগুলো পরিপূর্ণতা পায় বিয়ের আসরে। শুধু মেহেদি লাগানোর জন্যই আয়োজন করা হয় ‘মেহেদি রাত’ অনুষ্ঠান। গান-বাজনার পাশাপাশি মনভরে শুধু মেহেদিই লাগানো হয় এদিন। অগণিত আধুনিক সাজের মধ্যেও মেহেদি আছে, থাকবে। কেননা কনের বিয়ের স্বপ্ন আর ভালোবাসা যে প্রকাশ পায় এর মধ্য দিয়েই।

বধূর রাঙা হাত

কনের সাজে দেশি পোশাক

জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয় বিয়ের মধ্য দিয়ে। এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটা স্মরণীয় করে রাখতে মানুষের চেষ্টার অন্ত নেই। বিয়ের অনুষ্ঠানের সবকিছুই হওয়া চাই একদম মনের মতো। তাই সময় হাতে রেখেই বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।
বিয়ের কেনাকাটার জন্য বিদেশ যেতে হবে, এমন ভাবনার দিন শেষ। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য পোশাক থেকে শুরু করে গয়না, জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি অনুষঙ্গ এখন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। চমত্কার ডিজাইন, উন্নত মান আর সাশ্রয়ী দামে এসব কিছুই এখন আমাদের দেশের ডিজাইনাররা তৈরি করছেন। দেশের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ছোঁয়াও তাই এর মধ্যে ষোল আনাই থাকে।