RSS

Sunday, November 29, 2009

স্বাদ বাড়াতে কয়েক পদ


মাংসের স্বাদ আরও বাড়াতে চাই সালাদ, বোরহানি, চাটনির আয়োজন। সে রকম কয়েক পদের তৈরি প্রণালী দিয়েছেন নাসরিন আলম।

রাইতা
উপরকরণ: সাদা দই এক কেজি, পাকা টমেটো ছোট কিউব এক কাপ, শসা কিউব ছোট এক কাপ, পেঁয়াজ কুচি একটি (সিরকায় ভেজানো) পুদিনা পাতা কুচি দুই টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো, ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া স্বাদমতো। জিরা ভাজা গুঁড়া আধা চা চামচ। দই ফেটে নিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
প্রণালী: খাওয়ার আগে টমেটো, শসা, পেঁয়াজ, পুদিনা পাতা, লবণ, চিনি, মরিচের গুঁড়া, জিরাসহ ঠান্ডা দইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে পরিবেশন।

বোরহানি
উপরকরণ: টক দই এক কেজি, পানি এক লিটার, কাঁচা মরিচ বাটা আধা চা চামচ। পুদিনা পাতা বাটা এক চা চামচ, সাদা গোল মরিচ গুঁড়া, সরিষা গুঁড়া এক চা চামচ, জিরা ভাজা গুঁড়া এক চা চামচ, ধনেপাতা বাটা এক চা চামচ, লবণ এক চা চামচ, প্রয়োজনে বেশি, কালো লবণ এক চা চামচ, প্রয়োজনে বেশি, চিনি স্বাদমতো।
প্রণালী: দই, পানি ও ওপরের সব উপকরণ (মসলা) দিয়ে খুব করে ফেটে নিতে হবে। বিরিয়ানি, পোলাও, মাংসের সঙ্গে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন।

 বিয়ের আয়োজন

শোরুমটিতে ঢোকার পথেই চোখে পড়বে দেশি পোশাকে চমত্কারভাবে সজ্জিত বর-কনে মূর্তির হাস্যোজ্জ্বল মুখ, যা আপনাকে বাঙালি সংস্কৃতির আনন্দঘন পারিবারিক উত্সব বিয়ের কথাই মনে করিয়ে দেবে।
২০ নভেম্বর চিরায়ত সংস্কৃতির বিয়ের পোশাক ও ঘর সাজানোর উপাদান নিয়ে ড্রেসিডেল নতুনভাবে যাত্রা শুরু করল ঢাকার গুলশানের রূপায়ণ গোল্ডেন এজে। ড্রেসিডেলের প্রধান নির্বাহী মায়া রহমানের মা সুফিয়া চৌধুরী শোরুমটির দ্বার উন্মোচন করেন।

কোরবানির প্রস্তুতি এখনই...

আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তার পরই শুরু হয়ে যাবে ঈদুল আজহা। এই ঈদে কোরবানির পশু কিনতে যাওয়া থেকে শুরু করে কোরবানি দেওয়া, কোরবানির পর করণীয় নানা দিক খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে।

পশু কেনার পর

পশুর যাতে ঠান্ডা না লাগে এমন স্থানে রাখুন। পশুকে শুকনো স্থানে রাখা প্রয়োজন। পশু রাখার স্থানে মেঝেতে চট বা খড় বিছিয়ে দিন। পশুর গায়েও চট দিতে পারেন। পশু অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

পশুর খাবার

পশুর খাবার হিসেবে খড়, দানাদার খাদ্য যেমন—কুড়া, গমের ভুসি, ছোলাভাঙা, ভাতের মাড়, চিটাগুড়, ছাগলের জন্য কাঁঠালপাতাসহ অন্যান্য পাতা ও দানাদার খাদ্য খাওয়ানো যায়।

পশু কোরবানির আগে

পশু কোরবানি দেওয়ার আগে পশুকে প্রচুর পানি খাওয়াতে হবে। এতে জবাই করার পর চামড়া ছাড়াতে সুবিধা হবে। পশু কোরবানির স্থান আগেই ঠিক করে নিন। আগে থেকেই কসাই ঠিক করে রাখুন। পশু কাটার জন্য ছুরি, দা প্রভৃতি ধার দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

পশুর চামড়া ছাড়াতে

পশুর চামড়া একটি জাতীয় সম্পদ। ঠিকমতো চামড়া ছাড়াতে পারলে এর দাম ঠিক পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কলেজ অব লেদার টেকনোলজির প্রভাষক সবুর আহেমদ বলেন, পশুকে কোরবানির আগে প্রচুর পানি খাওয়াতে হবে। এতে চামড়া ছাড়াতে সুবিধা হবে। পশু জবাই করার পর দক্ষ লোক দিয়ে চামড়া ছাড়াতে হবে। অনেকে চামড়ার সঙ্গে লেগে থাকা মাংস বাঁচাতে গিয়ে চামড়া কেটে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ কাটা চামড়ার দাম ও মান অনেক কম। চামড়া ছাড়াতে ধারালো চাকু বা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। তবে পশু জবাই করার পরপরই চামড়া সাইজ করে নিতে হয়। এতে চামড়া কাটতে সুবিধা হয়। চামড়া কাটা হয়ে গেলে তা থেকে ধুলা ও রক্ত এবং লেগে থাকা মাংস পরিষ্কার করতে হবে। এরপর পর্যাপ্ত লবণ মেখে চামড়া সংরক্ষণ করতে হবে।

পরিবেশ থাকুক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
কোরবানির পশু জবাই করার পর ময়লা-আবর্জনা জমে যায়। এসব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করলে পরিবেশ দূষিত হতে পারে। গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। এ বিষয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা দেওয়ান মো. শাহ্ আলম বলেন, কোরবানির পরপরই পশু জবাই করার স্থানে পানি ঢেলে রক্ত পরিষ্কার করতে হবে। রক্ত যেন শুকিয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিভিন্ন ময়লা যেমন—হাড়গোড়, নাড়িভুঁড়ি, চামড়ার কাটা অংশ প্রভৃতি এক স্থানে জমা করে রাখতে হবে। এরপর এমন স্থানে রাখতে হবে, যাতে পরিচ্ছন্নকতার্মীরা এসে নিয়ে যেতে পারে। তবে কোনো স্থানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী আসতে দেরি হলে বা না এলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এ ছাড়া যেসব স্থানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই সেখান সব ময়লা-আবর্জনা একত্র করে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হবে। এতে একদিক থেকে যেমন ময়লা-আবর্জনা দূর হবে, অন্যদিকে পরিবেশও ভালো থাকবে।

Tuesday, November 24, 2009

ঈদে থাক ভিন্ন স্বাদ

ঈদে শুধু মাংস নয়, কলিজা, মগজও তো খাওয়া হবে। দেখুন শাহানা পারভীন-এর দেওয়া রান্নাগুলো।

কিমা কাবাব

উপকরণ: সেদ্ধ করা গরুর মাংসের কিমা ২ কাপ, মিহি কুচি সেদ্ধ করা সবজি (গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মাশরুম) ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ মিহিকুচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ মিহি কুচি ২টি, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, ফেটানো ডিম ২টি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়া ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো এবং ভাজার জন্য তেল দিতে হবে।
প্রণালী: বিস্কুটের গুঁড়া ও তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবার মিশ্রণ থেকে নিয়ে কাবাবের মতো করে ডিমের গোলায় ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়া মেখে ডুবো তেলে ভেজে সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

ঝালে মসলায় ঈদের রান্না

মাংসই তো এই ঈদে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হবে। তাই চাই মাংসের নানা রকম স্বাদ। দেখে নিন সিতারা ফিরদৌসের দেয়া ভিন্ন রকম কয়েকটি রেসিপি।

আচার মাংস
উপকরণ: খাসি বা গরুর মাংস দেড় কেজি। আম বা জলপাইয়ের আচার ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, তেজপাতা ৪টি, মেথি আধা চা চামচ, তেল ১ কাপ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, টকদই আধা কাপ, চিনি ১ চা চামচ।
প্রণালী: মাংস টুকরা করে ধুয়ে সব বাটা মশলা, গুঁড়া মসলা, টকদই ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। তেল গরম করে মেথি ফোড়ন দিয়ে তেল ছেঁকে নিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে মাখানো মাংস দিয়ে কষাতে হবে। মাংস কয়েকবার কষিয়ে পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে রান্না করতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ, চিনি, আচার দিয়ে মাংস ভুনা ভুনা করে নামাতে হবে।

 ঈদ তো এসেই গেল...

কয়েক দিন পরেই ঈদ। ঘরে ঘরে চলছে প্রস্তুতি। বাড়ির লোকেরা ব্যস্ত কোরবানির হাট নিয়ে। এদিকে গৃহিণীর দম ফেলার ফুরসত নেই। কেননা, অনেকখানি ধকল যায় তাঁর ওপর দিয়ে। তাই আগেভাগেই নিতে হয় প্রস্তুতি। তা ছাড়া এই ঈদে রান্নার পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। সে জন্য গৃহিণীর পূর্বপরিকল্পনার প্রয়োজন। ধারাবাহিকভাবে কাজগুলো লিপিবদ্ধ করতে হবে। এতে সাজানো-গোছানোভাবে সহজেই সব কাজ হয়ে যাবে।

Wednesday, November 18, 2009

নাক সেজেছে নাকছাবিতে...


একটা সময় ছিল, যখন নাকফুল পরার চলনটা কেবল বিবাহিত মেয়েদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে কালের আবর্তে এর চলন ও চাহিদা সব বয়সের মেয়েদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বরং এ চলটি এখন টিনএজ মেয়ে, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়াদের মধ্যেই বেশি।
নাকফুলের রয়েছে হরেক রকম ধরন। একেক সময় চল আসে একেক রকম নাক ফুলের। অনেক আগে গ্রামের মেয়েদের মধ্যে চল ছিল নাকে বেশ বড় আকৃতির নথ পরার। গোল একটি রিং কিংবা রিংয়ের মধ্যে কয়েকটি ছোট পুঁতি বা ফুল অথবা একটু চেপটা ডিজাইনের লম্বাটে ধরনের নাকফুলও পরতেন অনেকে। গ্রামবাংলার সেই ধারা এখন হালফ্যাশনে জায়গা করে নিয়েছে। বিয়ের আসরে কনের নাকে বেশ বড় ধরনের নোলক থাকলেও এর ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে নেই। আগে নাকফুল হিসেবে ছোট একটা মসুর ডালের দানার মতো সাদা পাথর পরতে দেখা যেত। যেটা হীরা বা ছোট কোনো জারকান পাথরেরই বেশি হতো। তারপর এল ভারতের টেনিস-তারকা সানিয়া মির্জার মতো নাকে পরার রিংয়ের চলন, যেটা টিনএজ মেয়েদের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা পায়। এই রিং সোনালি, রুপালি কিংবা তামাটে রঙের হতে পারে। আবার অর্ধেক রিংও বেশ প্রচলিত আছে নাকফুল হিসেবে। এখনকার নাকফুলগুলোকে আসলে নথ বা নাকছাবিই বলা চলে। অনেকে নাকের মাঝের নরম হাড়টি ফুঁড়িয়েও সেখানে রিং পরছেন।

গরম গরম স্যুপ

শীত তো প্রায় এসেই গেল। এই সময়ের হিম হিম পরিবেশে এক বাটি গরম স্যুপে চুমুক দিতে চমত্কার লাগবে। দেখুন শাহানা পারভীন-এর দেওয়া রেসিপিগুলো।

পাঁচমিশালি স্বচ্ছ স্যুপ
উপকরণ: মুরগির স্টক ৪ কাপ, সেদ্ধ নুডলস ২ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম ৮-১০টি, মাখন ১ টেবিল চামচ, গাজর সেদ্ধ ২৫ গ্রাম, ফুলকপি ২৫ গ্রাম, বরবটি সেদ্ধ ২৫ গ্রাম, টমেটো ১টি, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৩-৪টি, সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, স্বাদ লবণ আধা চা চামচ, ভাজা শুকনো মরিচ ২টি।
প্রণালী: কাজু বাদাম ও মাখন ছাড়া ওপরের সব উপকরণ স্টকের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে স্যুপ তৈরি করতে হবে। মাখনে কাজু বাদাম একটু ভেজে স্যুপে দিন। ভাজা শুকনো মরিচ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ক্লিয়ার স্যুপ।

 চলছে চাপা জিনস


জাঁকিয়ে না এলেও হিম হিম ভাব নিয়ে শীত তো প্রায় চলেই এসেছে।এ ঋতুকে উপলক্ষ করে বদলে গেছে পোশাকের রং-ঢং। বাড়তি উষ্ণতা পাওয়া কিংবা একঘেয়েমি কাটানো—কারণ যা-ই হোক না কেন, পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে জিনসের প্যান্টেও। বাজার ঘুরে তুলে ধরা হলো মেয়েদের জিনসের প্যান্টের বর্তমান হালহকিকত।

চাপা জিনস
দোমড়ানো-মোচড়ানো জিনসের কাপড়টা স্ট্রেচ করা। কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পা দুটিকে যেন মুড়ে রেখেছে শক্ত করে। দেখলে মনে হয়, জিনসের কাপড়টি পায়ের সঙ্গে লেগে আছে। গোড়ালির অনেক ভাঁজ যেন চুড়িদার সালোয়ারের মতো। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, সুপার স্কিনি জিনস প্যান্ট বা চাপা জিনস প্যান্ট। এটাই এখন জনপ্রিয় জিনসের কাটে—জানালেন ফ্যাশন ডিজাইনার মাহিন খান।

Saturday, November 14, 2009

সামলে নিন যতো স্ট্রেস

সকাল বেলার ঘুমটা কি আরেকটু আগে ভাঙলেই হতো না? আর আজই কেন বেছে বেছে পানি ছাড়তে ভুলে গেলেন বাড়িওয়ালা? রাস্তার জ্যামটাও কি অফিস টাইমটাকে আরো একটু পেছনে ঠেলে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে? নাহঃ এতোসব যন্ত্রনা কাহাতক সহ্য করা যায়। তাই সুন্দর একটা সকালের স্বপ্ন নিয়ে আগের রাতে ঘুমুতে গেলেও জনৈক আদনান সাহেবের দিনটা শুরু হলো একরাশ ‘স্ট্রেস’ নিয়ে। তাই নিয়ে লিখেছেন রাশেদুল হাসান শুভ

চটজলদি কাবাব

মোঘল আমল থেকেই কাবাব আমাদের উপমহাদেশের জনপ্রিয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে এর নাম বারবিকিউ। কাবাব কিংবা বারবিকিউ যে নামেই ডাকা হোক ডাইনিং-এ এই খাবারটি নিঃসন্দেহে সবার জিহ্বে জল আনে। কিন্তু তৈরি প্রণালীতে ঝামেলা বলে অনেকেই কাবাব খেতে বেছে নেন শহরের রেস্টুরেন্টগুলোকে। ঘরে বসে জটজলদি তৈরি করা যায় এমন কিছু মজার রেসিপি নিয়ে এ সংখ্যা কড়চা রেসিপি। রেসিপিগুলো দিয়েছেন রিমিক্স বিউটি পার্লার ও রান্নার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্ণধার রন্ধন বিশেষজ্ঞ আফরিনা শিপন আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

চিরুনি কাহনঃ

সুন্দর চুল আরও সুন্দর আর বাহারি করে রাখতে চাই সঠিক দেখাশোনা। চুলের প্রথম যতœ বলতেই মনে পড়ে যায় ভাল চিরুনি এবং ব্রাশের কথা। ডারমাটোরজিস্টদের মতে, প্রতিদিন অন্তত একশোবার চুল আঁচড়ানো উচিত মস্তিষ্কের ব্লাড সারকুলেশন ঠিক রাখার জন্য। তাই কোথাও বেরোনোর সময় সঙ্গে একটা হেয়ার ব্রাশ থাকা মাস্ট। আর তা যদি বেশ স্টাইলিশ দেখতে হয়, তা হলে তো কথাই নেই! তবে স্টাইলিশ হওয়াটাই শেষ কথা নয়, প্রকৃত অর্থে যেটা প্রয়োজন, তা হলো চুলের সৌন্দর্য ও পরিচর্যা। তাই শুধু মেয়েদের নয়, ছেলেদের উদ্দেশ্যেও আমাদের এটাই সাজেশন যে, পাঁচ ইঞ্চির খুদে পকেট চিরুনি নয়, দরকার সঠিক হেয়ার ব্রাশ। কোন হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করলে চুল ভাল রাখা যায়, কোন ধরনের চুলের জন্য কোন ধরনের ব্রাশ উপযুক্ত, সে ব্যাপারে কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করা হলো-

অভিধানের দরদাম

ি - কার, ী - কার, ু - কার, ূ - কার ইত্যাদি নিয়ে প্রায়ই বন্ধুমহলে তর্কযুদ্ধ পরিলক্ষিত হয়। যারা লেখালেখির পেশায় জড়িত তাদেরকে খেতে হয় বসের বকুনি। আর এ সবই হয় বানান সম্পর্কে না জানার কারণ। এ সব সমস্যা থেকে খুব সহজেই রেহাই পেতে পারেন যদি আপনার সংগ্রহে থাকে অভিধান বা ডিকশনারি।

কাটিয়ে উঠুন বিষাদ

জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে আমরা যে কেউ ডিপ্রেশনে বা হতাশায় ভুগতে পারি। ডিপ্রেশন বা হতাশা কোন স্থায়ী রোগ নয়। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ডিপ্রেশনকে রোগ বলে গন্য করা হয়। কোনো কারণে দুঃখকষ্ট যখন আমাদের মনে গভীরভাবে বসে যায়, তার ফলে আমরা যখন আমাদের স্বাভাবিক কাজগুলো করতে পারি না তখনই ডিপ্রেশনের উদ্ভব হয়। দিনে দিনে এই ডিপ্রেশন ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন বা ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার-এ রূপ নেয়। এর পরিণতি খুব ভাল নয়, তা আমাদের জানা। তাই ডিপ্রেশন উড়িয়ে দিয়ে কিভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় তার কিছু টিপ্স জেনে নেয়া যাক-

রেঁস্তোরায় খেতে গেলেঃ


রেস্টুরেন্ট এ খাবার অভ্যাস কম বেশী সবারই আছে। পনের দিন কিংবা মাসে একবার রেস্টুরেন্টে যাওয়া পরে অনেকেরই। রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার কিছু সহবত রয়েছে। এ সহবতগুলো আসলে শেখার বিষয় নয় কমনসেন্স ও সিভিক সেন্সের বিষয়। তাই তুলে ধরা হলো এ রেষ্টুরেন্ট সহবত-

হার্ট ভাল রাখতে ডায়েট

আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষই মধ্যবয়সে হার্টের রোগে ভোগেন। এর প্রধান কারণ আমাদের অলস জীবনযাত্রা এবং ত্রুটিপূর্ণ খাদ্য তালিকা। এছাড়া আছে ধোয়া, ধূলিযুক্ত বাতাস এবং ধূমপান বা তামাক সেবনের প্রবণতা। আর আরামপ্রিয় জাতি হিসেবে তো আমরা বরাবরই বিখ্যাত। বিষাক্ত ধোঁয়া বা ধুলাবালি থেকে এড়িয়ে চলা হয়তো সম্ভব না। তবে ভোজনরসিক হিসেবে আমাদেরকে সুনাম বা দুর্নাম রয়েছে। তা হয়তো একটু চেষ্টা করলেই আমরা পরিবর্তন করতে পারবো। একটি সুস্থ খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে হার্টের নানারকম রোগ অনেকাংশেই এড়িয়ে চলা যায়।

হেলদি হার্ট ডায়েট

ঘুম থেকে উঠে

১ গ্লাস হালকা উষ্ণ গরম পানিতে একটু পাতিলেবুর রস এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে খান।

সকালের নাস্তা

২ টুকরা টোস্ট, সামান্য জ্যাম, ১ কাপ স্কিমড দুধ এবং ফলমূল (আপেল, আঙুর, পেঁপে, তরমুজ, পেয়ারা ইত্যাদি)।

সকাল সাড়ে ১০টা

এ সময়ে ১ গ্লাস ফ্রেশ ফলের জুস খাবেন। ডাবের পানিও বেশ উপকারী।

দুপুরে খাবার

দুপুরে ভাত বা রুটি যেকোনোটিই খাওয়া যাবে। সাথে থাকবে সবজী একবাটি, ছোট মাছ বা বড় মাছ ১ পিস (তৈলাক্ত মাছ না খাওয়াই ভাল) ১ বাটি পাতলা ডাল, দই এবং সালাদ।

বিকেলের নাস্তা

বিকেলের নাস্তায় তৈলাক্ত খাবার বা ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। শশা, মুড়ি বা সালাদ খান।

রাতের খাবার

সবজীর স্যুপ, ব্রেড ২ পিস, চিকেন ২ পিস, ফলের সালাদ (ক্রিম ছাড়া)।

মেঝের আত্মকথা

ঘরে ঢুকতে হলে চৌকাঠ মাড়িয়ে যে জিনিসটি প্রথম আপনার পা ছুঁয়ে যায় সেটিই হচ্ছে মেঝে। এই মেঝের উপরেই দাঁড়িয়ে আছে পুরো বাড়িটি। তাই ঘরের সার্বিক সৌন্দর্যের একটা বড় অংশ নির্ভর করছে এই মেঝের উপরে। সে দৃষ্টিকোন থেকে আদি অন্ত থেকেই ঘরের মেঝে গৃহকর্তার কাছ থেকে একটু বাড়তি যতœ পেয়ে এসেছে। আর গৃহিনী সেই মেঝেকে মেজে ঘষে সর্বদা চকচকে রেখেছেন। গ্রাম বাংলার মাটির মেঝেকে প্রতিদিন একবার লেপন দিয়ে সর্বদা মসৃন রাখেন বাড়ির গিন্নি। আর শহুরে মেঝেতে ডেটল ছিটিয়ে হাতে শীর্ষেন্দু পড়তে পড়তে ভ্যাকুয়েম ক্লিনার চালান এযুগের আধুনিক গিন্নি। তাই ঘরে ঢুকতে মনযোগ যদি প্রথমেই পড়ে মেঝেতে তবে তো অবশ্যই মেঝেটি তৈরিতে একটু মনযোগী হতে হয়। সেই লক্ষ্যেই আমাদের এপক্ষের ইন্টেরিয়র অংশে আমরা নজর দিয়েছি মেঝেতে।

স্টাইলিশ চুলের নেপথ্যে



লম্বা কেশের নারী, এ প্রচলিত ধারণা থেকে আমরা এখন অনেকটাই দূরে অবস্থান করছি। আজকের আধুনিক নারী দীঘল কালো লম্বা চুলের চেয়ে স্বাস্থ্যবান চুলের দিকে দৃষ্টি দেন। চুলের দৈর্ঘ্যের চেয়ে জৌলুসের দিকেই নারী বেশি মনযোগী। যতœ-আত্তির পাশাপাশি স্টাইলের বিষয়টিও প্রাধান্য পাচ্ছে। স্টাইলিশ স্বাস্থ্যবান চুল কিভাবে বজায় রাখবেন চলুন তা এবার জেনে নেই।

ডাস্টিং অ্যান্ড ক্লিনিং

শীতের শুরুতে ধুলোময়লা পরিষ্কার করে বাড়ি ঝকঝকে রাখুন

০ ধুলোময়লা পরিষ্কার করার সময় সব সময় ঘরের ওপরের অংশ থেকে নীচের অংশ পরিষ্কার করবেন। সিলিং, ফ্যান দিয়ে শুরু করে তারপর সোফা , মেঝে পরিষ্কার করুন।

০ ফ্যান পরিষ্কার করার আগে বিছানায় খবরের কাগজ বিছিয়ে দিন। ফ্যান বন্ধ করে দিন। ভিজে পেপার টাওয়েল দিয়ে ফ্যানের গায়ে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে পারেন। তারপর নরম ব্রিসলের ব্রাশ সাবানপানিতে ডুবিয়ে, সেটা দিয়ে ফ্যানের ব্লেড হালকা হাতে ঘষুন। ভিজে পেপর টায়েল দিয়ে মুছে ফেলুন।

সৌন্দর্য রক্ষার কৌশল

সাজতে গিয়ে কিংবা ত্বকের যতেœ সববয়সী মেয়েরা ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি করে থাকে। এসব ভুল-ত্রুটি একটু সাবধানতার সাথে এড়িয়ে চললে সৌন্দর্য্য রক্ষার কাজটি অনেক সহজ হয়। ত্বক এবং চুলের রং,ধরন প্রভৃতি নানা বিষয়ের সাথে চোখ, ঠোঁট কিংবা ফেসিয়াল সামগ্রিক বিষয়গুলো একসাথে শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করলে আপনি হবেন ‘রূপে অনন্যা’। নিজেকে অপরূপা সুন্দরী নয় বরং নজর করা রূপসী করতে গিয়ে আপনি যে সাধারণ বিউটি মিসটেক-গুলো করে থাকেন তার থেকে সাবধানতা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন মোর্শেদ নাসের টিটু। বর্ণনা নয় এই অংশটি সাজানো হয়েছে অনেকটা চেকলিস্ট আকারে-

Tuesday, November 10, 2009

আয়নায় সাজবে ঘর


শৌখিন আসবাব ঘরে নিয়ে আসে শৈল্পিকতার ছোঁয়া। তাই দৈনন্দিন গৃহসজ্জায় এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে শৌখিন আসবাবের বিষয়টিকেও। এখন গৃহসজ্জায় আয়নার ব্যবহার অনেক বেশি। ছিমছাম বসার ঘর থেকে ছোট স্নানঘর—সব ক্ষেত্রেই অন্দরসজ্জায় করা হচ্ছে আয়নার ব্যবহার। বিভিন্ন ধরনের লোকজ সংস্কৃতির আদল, পশু, পাখির নকশায় কাঠ, মাটি, সিরামিকসহ নানা ধরনের উপাদানে তৈরি করা হচ্ছে আয়না। গতানুগতিক নকশা থেকে বেরিয়ে এসে নানা ধরনের পরীক্ষণের ছোঁয়ায় এই আসবাবটিকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলছে আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউস ও আসবাবের প্রতিষ্ঠানগুলো।

এই সময়ে চকচকে লিপস্টিক


সামনেই শীত। শীতকে গরম কাপড়, কাঁথা, কম্বল আর পিঠার উত্সবের মধ্যদিয়ে বরণ করে নেওয়ার তোড়জোড় চলছে। কিন্তু এত আয়োজনের মধ্যে সমস্যা একটাই। রুক্ষ ত্বক, হাত, পা তো আছেই; বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ফাটা ঠোঁট দুটি নিয়েও। ফাটা ঠোঁটে লিপস্টিক লাগালে মোটেও ভালো দেখায় না। তাই আগেভাগেই ঠোঁটের যত্ন নেওয়া শুরু হোক।

শীতে ঠোঁটের যত্ন
রূপবিশেষজ্ঞ নীপা মাহবুব জানালেন শীতে ঠোঁটের যত্নের কিছু কথা। ঘরে-বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন, ঠোঁট ফাটবেই। এ রুক্ষতা দূর করতে সব সময় ক্রিম বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগেও নিতে হবে যত্ন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পুরু করে ভ্যাসলিন লাগান ঠোঁটে। সকালে উঠে ভেজা সুতি কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষুন, মরা চামড়া উঠে যাবে।

হাত-পা ঘামছে?

শীতে আসলে অনেকেরই হাত-পা ঘামে । ফলে পোহতে হয় নানা দুর্ভোগ। আবার পা ঘেমে যাওয়ার কারনে এ থেকে সৃষ্টি হতে-পারে দুর্গন্ধ। এ নিয়েও অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অনেককে।
হাত-পা ঘামলে..
হলিফ্যামিলি হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক আফজালুল করিম বলেন, হাত-পা কেন ঘামে তার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো বের করা যায়নি। তবে বংশগতভাবে এ রোগ থাকা, শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা প্রভৃতি কারনে হাত-পা ঘামতে পারে। সাধারণত তিনভাবে হাত-পা ঘামা কমানো যেতে পারে। এক হলো অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত এক ধরনের বিশেষ লোশন হাত-পায়ে ব্যবহার কারলে হাত-পা ঘামা কমে যায়। আর একটি হলো বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেঁকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে। পরবর্তী সময়ে এটি দেখা দিলে আবার একইভাবে সেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেঁকে নিতে হবে। এসব পদ্ধতি ছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়। এই অপারেশন নিউরো সার্জনরা করিয়ে থাকেন। তবে হাত-পায়ের ঘাম রোধে যা-ই করা হোক না কেন, তা করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
পায়ের দুর্গন্ধের কারণ
পায়ের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ পায়ের ঘাম। আফজালুল করিম জানালেন, ঘেমে যাওয়া পায়ে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জুতার ভেতর থেকে ঘাম বেরোতে পারে না। অনেকক্ষণ এমন অবস্থায় থাকার ফলে পা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ ছাড়া জুতা ও মোজা নিয়মিত না পরিষ্কার করলেও পা ও জুতা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।
কী করবেন
পা থেকে দুর্গন্ধ দূর করতে কী করবেন? এ নিয়ে জানালেন ছেলেদের সৌন্দর্য চর্চার প্রতিষ্ঠান রেজরস এন সিজরসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সব সময় পা পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসে পায়ে শ্যাম্পু লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পরিষ্কার করে শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলতে হবে।
প্রতিদিন ব্যবহার করা মোজা ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে। জুতাও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জুতার মধ্যে পাউডার দিতে পারেন। প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে এসব রোদে দেওয়া যেতে পারে। সুতি মোজা ব্যবহার করাই ভালো কারণ এতে পা কম ঘামে ও ঘাম শোষণ করে। আর যাঁদের পা বেশি মাত্রায় ঘামে, তাঁরা বেশি ঘাম শোষণ করতে পারে এমন জুতা কিনতে পারেন।

চুলের যত্ন নিন

ছেলেদের চুল নিয়ে অনেকে নানা সমস্যায় ভোগে। তখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় চুল। কীভাবে চুলের যত্ন নিলে সমস্যা দূর হবে, অনেকেই তা ঠিকমতো জানে না।
এ সময় আবহাওয়া কিছুটা শুষ্ক। বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণও বেশি, তাই চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি চুল পড়া, চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, চুল ভেঙে যাওয়াসহ বিভিন্ন চর্মরোগও দেখা দিতে পারে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগায় চুলের খুশকি। এ থেকেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ডিম ডিমা ডিম

শীত আসছে। এই সময়টায় ডিম খাবার মজাই অন্যরকম। ডিমের নানারকম রান্না দিয়েছেন সিতারা ফিরদৌস

ডিমের কাশ্মীরি কোরমা

উপকরণ: সিদ্ধ ডিম ৬টি, টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, ঘি সিকি কাপ, তেল আধা কাপ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, কিসমিস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ।
প্রণালী: তেল, ঘি গরম করে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে সব বাটা মসলা কষিয়ে গুঁড়া মসলা দিয়ে ১ কাপ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে বাদাম বাটা ও দই দিতে হবে। কিসমিস ও ডিম দিয়ে নামাতে হবে।

এবার ফাটবে না

প্রকৃতিতে চলছে ঋতুর পালাবদল। শীত এগিয়ে আসছে তার রাজত্ব বিস্তারে। তাই বলে তাকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে সঠিক প্রসাধনী নির্বাচন আর ত্বক পরিচর্যা করে এ সময়টাতে আপনি হয়ে উঠতে পারেন আরও সজীব, আরও সুন্দর।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের পরিচর্যায়ও পরিবর্তন আনতে হয়। গরম ও শীতের সময় ত্বকের পরিচর্যা ভিন্নভাবে করতে হবে। শীতের সময় আর্দ্রতা কমে যায়। ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ সময় ত্বকের সঠিক পরিচর্যা জরুরি। বলছিলেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান।
লেজার চিকিত্সা বিশেষজ্ঞ ঝুমু খান বলেন, শীতে প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় ত্বকে টানটান ভাব হতে থাকে। তবে শীত আসার আগেই যদি ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়, তাহলে শীতের সময়ও ত্বক খুব ভালো থাকবে।
তাঁদের দুজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শীতে কীভাবে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

Saturday, November 7, 2009

রূপকড়চা : ময়শ্চারাইজিং

ত্বকে বিশেষ করে মুখশণ্ডলের ত্বকে, সরাসরি প্রয়োজনীয় জলীয় পদার্থ প্রলেপ লাগিয়ে শিশির সিঞ্চিত করাই হচ্ছে ময়শারাইজিং করা। ময়শ্চারাইজিং করার ফলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকে ও পানীয় ভাবকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। যাদের ত্বক্ শুষ্ক, তাদের ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা রক্ষা করার চেষ্টা করা উচিত। ময়শ্চারাইজিং করার ফলে বাতাসের পানীয বাষ্প ময়শ্চারাইজোর টেনে নেয়, ফলে রুক্ষ ত্বক হয়ে ওঠে ঝলমসলে কোমল, ফুটে ওঠে ত্বকের স্বাভাবিক বাহার। মেক-আপ করার আগে অল্পক ময়শ্চারাইজার (ময়শ্চারাইজিং লোশন) ব্যবহার করবেন। শুধুমাত্র ময়শ্চারাইজিং করার সময়ে একটু বেশি পরিমাণে ব্যবহার করবেন, লক্ষ্য রাখবেন, ময়শ্চারাইজিং লোশনটি যেন নামী উৎপাদকের তৈরি হয়।

কিভাবে মশ্চারাইজিং করবেন ঃ ক্লিনজিং ও ফ্রেশনিং করার পর নরম তোয়ালে দিয়ে পানি শুষে নিন। এ সময় ত্বকে যথেষ্ট পরিমাণে আর্দ্রভাব থাকে। ঠিক এই সময় ১০/১৫ ফোঁটা ময়শ্চারাইজিং লোশন হাতে ঢেলে নিয়ে দু’হাতের চেটোয় ভালভাবে মাখিয়ে মুখমণ্ডল, গলা, ঘাড় ও কনুই থেকে আঙুল পর্যন্ত হাল্কাভাবে লাগান। মনে রাখবেন, লোশন মাখবার সময় নিচ থেকে ওপর টানে হাত চালাবেন। প্রয়োজনে আরও কয়েক ফোঁটা নিয়ে দ্বিতীয় বার মাখতে পারেন। কপাল, নাক ও চিবুক ইত্যাদি অংশে আঙুলের ডগায় সাহায্যে বিন্দু বিন্দু করে লোশন লাগিয়ে বসিয়ে নিন। চোখের চারপারে তর্জনীর সাহায্যে লোশন অর্ধচন্দ্রকারে আস্তে আস্তো লাগান। এই সময় দু’হাতেও লাগিয়ে নেবেন। মেক-আপের আগে মযশ্চারাইজিং লোশন যদি লাগাতে চান, তবে লোশন মাখার পরে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে মেক-আপের কাজ শুরু করবেন। কারণ এ সময়ের মধ্যে লোশন ত্বকে ভালভাবে মিশে যাবে, ফলে মেক-আপের বিন্যাস হবে সর্বত্র সমান।

পুরুষালি রূপকড়চা

রূপচর্চায় লিঙ্গ ভেদ নেই। অথচ রূপচর্চা কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই চোখের সামনে ভেসে উঠে ত্বন্বী সুন্দরীর ছবি। আবার দেখুন শরীরচর্চার মধ্যে কেমন যেন মিশে আছে কতকগুলো জবজবে শরীর মন্ডল ডাম্বেল ইত্যাদি। কিন্তু সত্যি কি তাই? আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। মেয়েরাও ঘরের মধ্যে বা হেলথ ক্লাবে কসরৎ করে ৩৬-২৪-৩৬ হবার চেষ্টা করেন। অন্য দিকে পুরুষরাও বসে নেই। ব্যায়ামাগার ছেড়ে ঢুকে পড়েছেন সান বাথের ইফেক্টিভনেস এবং ক্রিম ময়শ্চারাইজারের কোয়ালিটি নিয়ে। রূপচর্চা আর শরীরচর্চার আসলে একই ব্যাপার। এমন কিছু পুরুষালি রূপকড়চা নিয়ে এবারের কড়চা রূপচর্চা-

অটিস্টিক শিশু : অভিভাবকের করণীয়


একটি পরিবারে যখন একটি শিশুর জন্ম হয়, সেই শিশুটিকে ঘিরে হাজারো কল্পনার জাল বোনেন তার মা বাবা। পাশাপাশি অনেক দায়িত্ব এসে পড়ে পরিবারটির উপর শিশুটিকে সুষ্ঠুভাবে লালন পালন করার ব্যাপারে। সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে থাকা শিশুটির বিকাশের পথে যদি কোন প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়, আর তা যদি হয় ‘অটিজম’ তা হ’লে সেই পরিবারটির যে বিড়ম্বনা আর কষ্ট তা অন্য কারো অনুভব করার শক্তি নেই।

সি ফর চওমিন


চওমিন, ভাতের বিকল্প হিসেবে পৃথিবীর অনেক দেশে এই খাবারটি জনপ্রিয়। বর্তমানে আমাদের দেশেও অনেকেই প্রধান শর্করার তালিকায় চওমিন বা নুডলসকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। চটজলদি রান্না করা যায়, খেতে সুস্বাদু আর বাচ্চাদের বিশেষ পছন্দ বলে এই সপ্তাহের কড়চায় থাকছে চওমিনের সুস্বাদু কিছু রেসিপি, দিয়েছে আফরোজা জামান আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

রোদ চশমার গল্প


চোখ জোড়াকে রঙীন কাঁচের আড়ালে ঢেকে কখনো তীক্ষè দৃষ্টিতে কাউকে পর্যবেক্ষণ, কখনো রোদের আঁচড় থেকে চোখ রক্ষা আর কখনো নিজেকে ফ্যাশনেবল করে উপস্থাপন করতে প্রয়োজন হয় সানগ্লাসের। কার্তিকের এই সময়ে শহরজুড়ে হলদে রোদের প্রকোপটা যেন বেড়েই চলছে। আর তাই চলতি সংখ্যা স্টাইল স্টেটমেন্টে থাকছে রোদ চশমার গল্প।

শোকেসের আলোকসজ্জ্বা

ডাইনিং রুমের কাবার্ড কিংবা ড্রইংরুমের শোকেস সবখানেই শোকেসে এখন একটু ভিন্ন স্টাইল চলে এসেছে। আর সেই শোকেস লাইটিং নিয়েই আমাদের এবারের বসতবসতি অংশটি। শোকেসের এই লাইটিং একইভাবে শোকেসের বাইরের অংশকেও আলোকিত করবে তাই নিয়ে লিখেছেন এমএইচ মিশু

দূরে রাখুন অস্থিরতা

সেই গেল বসন্তের প্রথম দিনের কথা। দীর্ঘ প্রস্তুতি আর অপেক্ষার পর সেদিন সুদীপ্ত দাঁড়িয়েছিল তার ভালোবাসার মানুষের সামনে। ইনিয়ে-বিনিয়ে আর ভালোবাসার সবটুকু রঙ মাখিয়ে সে তার স্বপ্নকন্যাকে জানিয়েছিল ‘ভালোবাসি’। কিন্তু জীবনের দীর্ঘতম দিনে সেই ক্ষণেই সুদীপ্ত জেনে গিয়েছিল এ ভালোবাসা কখনো সত্যি হবার নয়। তার ভালোবাসার মানুষ যে বহু আগেই অন্যের হৃদয় বন্ধনে বাঁধা। তারপর কতো দিন যায়, কতো রাত যায়। কিন্তু সুদীপ্ত’র ভাবনার ক্যালেন্ডারে যেন সময় থেমে থাকে সেই আগের জায়গাতেই। তার দিন কাটে তো, রাত কাটে না; রাত কাটেতো দিন কাটেনা। কোনো কাজেই মন বসাতে পারে না সুদীপ্ত। পড়ায় মন বসে না, ছাত্র পড়ানোর টিউশনিতে যেতেও মন বসে না। সব মিলিয়ে কেমন যেন অস্থির আর দমবন্ধ মনে হয় সবকিছু। সুদীপ্তর মতো অজানা এক অস্থিরতায় ভুগছে বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা রায়হানও। তার পারিপার্শ্বিক সমাজ আর সংসারে সম্পর্ক নিয়ে কোনো টানাপোড়েন নেই। অফিসেও দিব্যি মাস শেষে পাওয়া যাচ্ছে মোটা অংকের মাইনে। তবু কেন যেন, ইদানিং আর কোনো কাজেই মন বসছে না তার। কর্মব্যস্ত একেকটা দিনকে মনে হচ্ছে সিন্দবাদের ভুতের মতো কাঁধের উপর চেপে বসা জগদ্দল কোনো পাথর। আবার বাড়িতে মা-বাবা কিংবা প্রিয়তম স্ত্রী’র সান্নিধ্যতেও কোথাও যেন একটা তাল কেটে যাওয়া বিষয় ঘটে চলছে দিনের পর দিন। সব মিলিয়ে এই অজানা অস্থিরতাটাই যেন কুুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে রায়হানকে।

Friday, November 6, 2009

কোমল পানীয়তে বিপত্তি

কোমল পানীয় হিসেবে প্রসিদ্ধ কোকা-কোলার জন্ম হয় ১৮৮৬ সালে আর একই ধাঁচের পানীয় পেপসির জন্ম ১৯০৩ সালে। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতি আর স্থান ভেদে মানুষ এই কোল্ডড্রিংস বা কোমল পানীয় পান করে আসছে। গরমে হাঁপিয়ে উঠে প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত ঠিক তখন এক বোতল কোল্ডড্রিংসে যেনো পৃথিবীর সব সুখ বোতলের বুদবুদে ঠাঁই নেয়। শুধু তেষ্টা মেটাতে নয়, বন্ধুদের প্রান চঞ্চল আড্ডায় কোল্ডড্রিংস যেনো না হলেই নয়। আপাত সুস্বাদু এই কোমল পানীয় আমাদের স্বাস্থের জন্য কতটা কোমল তা কিন্তু আমরা কখনই খতিয়ে দেখি না। এবারের কড়চার মুল প্রতিবেদনে থাকছে কোল্ডড্রিংসেরই ব্যবচ্ছেদ, লিখেছেন এমএইচ মিশু