RSS

Thursday, July 30, 2009

যত্নে থাকুক রুপার গয়না

গয়নার মধ্যে আনিলার প্রথম পছন্দ পায়ের নুপুর। অন্য কিছু না পরলেও নুপুর জোড়া সব সময় তার পায়ে-ই থাকে। কিন্তু সমস্যায় পড়তে হয় বেশ কিছু দিন পরপরই। কারণ, কয়েক মাস যেতে না যেতেই নুপুরগুলো কালো হয়ে যায়। শুধু নুপুর নয়, অন্য যে রুপার গয়নাগুলো আছে সেগুলো একটু বেশি দিন থাকলেই কালচে হয়ে যায়। প্রিয় গয়নাগুলো কীভাবে যত্নের মাধ্যমে সংগ্রহে রাখবেন তা নিয়ে ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। আনিলার মতো এ সমস্যায় আছেন অনেকেই। সঠিক উপায় জানা নেই বলে যত্ন নিতে পারেন না প্রিয় রুপার গয়নাগুলোর। রুপার গয়নার যত্নের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকার চাঁদনীচকের রুপার গয়নার ব্যবসায়ী মো. আবদুল খালেক। পরামর্শমতে যত্নে রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত টিকে থাকবে আপনার পছন্দের রুপার গয়না।
"" অনেকের ধারণা, রুপার গয়না কালো হওয়া মানেই তা নকল। আসলে রুপা যদি খাঁটি হয় তাহলে কালো হবেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
"" বায়ুনিরোধক পাত্রে রুপার গয়না রাখলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে এবং সহজেই কালো হবে না।
"" গয়নার কালো ভাব দুর করতে তেঁতুল জল বা গুঁড়া সাবানে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
"" বাজারে সিলভার পালিশ পাওয়া যায়, যা রুপাকে নতুনের মতো ঝকঝকে করে।
"" গয়না ব্যবহারের পর তুলো বা টিস্যু অথবা মখমলজাতীয় নরম কাপড়ে পেঁচিয়ে রাখলে ভালো থাকবে।
"" রুপার গয়না কেনার সময় ভালো দোকান দেখে কেনা উচিত। নামকরা দোকান থেকে গয়না কিনলে অপেক্ষাকৃত ভালো মানের গয়না পাওয়া যায়।
"" আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে গয়নার রং বদলে যেতে পারে। পানি লাগলে, চুলোর আঁচে গয়না কালো হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
"" গয়না কেনার সময় বিক্রেতার কাছ থেকে নিশ্চয়তাপত্র নিতে ভুলবেন না।

এই বর্ষায় চুলের যত্ন

প্রতিদিন নিয়ম করে ঝেঁপে বৃষ্টি না হলেও বর্ষাকালে হঠাৎ বৃষ্টি তো হচ্ছেই। আচমকা ঝুপঝুপ বৃষ্টিতে ভিজে অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়ে। আবার অনেকেই আছে, বর্ষাকালে শখ করে একটু বৃষ্টিতে ভিজবে না, এমনটি ভাবতেই পারে না। সবকিছুর সঙ্গে চুলও ভিজে তখন একদম চুপচুপে! কাপড় না-হয় শুকানো গেল, নিজেও ঠিকঠাক পরিষ্ককার হওয়া গেল, কিন্তু ঠিকমতো পরিচর্যা না হলে চুল চটচটে হয়ে থেকে ভীষণই অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। উপরন্তু এবারকার বর্ষার আর্দ্রতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভাপসা গরম। একদিকে বৃষ্টির পানি, অন্যদিকে যখন বৃৃষ্টি নেই, তখনকার স্যাঁতসেঁতে গুমোট আবহাওয়া−সব মিলে এই বর্ষায় চুলের জন্য প্রয়োজন সঠিক যত্ন।

ক্লাচ ব্যাগ

ক্লাচ ব্যাগ। এক বছর আগেও এর জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা ছিল নির্দিষ্ট একটি সীমারেখার মধ্যে। তবে পরিবর্তিত ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে তৈরি হয়েছে এর বিপুল চাহিদা। চার কোনা, আকারে ছোট, পাঁচ আঙ্গুলের ভেতর ধরে রাখার এই ব্যাগটির আগমন হয়েছে পাশ্চাত্য দেশ থেকে। এ সম্বন্ধে আড়ংয়ের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ সাদিয়া হক জানান, পাশ্চাত্য দেশে এটি ব্যবহার করা হয় উৎসবমুখী ব্যাগ হিসেবে। গত এক বছরে এটি আমাদের দেশেও ফ্যাশন উপকরণ হিসেবে অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।

তুমি বন্ধু কেমন বন্ধু

বন্ধুত্ব হয়তো কখনোই পরিমাপ করবার বিষয় নয়। তবু জীবনে চলার পথে যারা তার বন্ধুতাটাকে যাচাই করে নিতে চান তাদের জন্যই দেয়া হলো এই স্কোরিং। হয়তো এর মাধ্যমেই বেরিয়ে আসতে পারে বন্ধুত্ব সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটা। আর সেখান থেকেই আপনি খুঁজে পেতে পারেন আগামী দিনের সুন্দর কোনো বন্ধুত্বের রসদ।

Tuesday, July 21, 2009

জামদানি

বুননের নাম জামদানি। শিল্পের ভেতরের যে ঐশ্বর্য ছড়িয়ে আছে আমাদের ঐতিহ্যে তার ধারক হয়ে আজো জনপ্রিয়তায় অনন্য হয়ে আছে জামদানি বয়ন। একসময় মসলিনের পরিপূরক হয়ে আমাদের ফ্যাশন ঐতিহ্যে বসতি গেড়েছিল জামদানি। ক্রমেই তা বাংলার তাঁতিদের আপন মমতায় আর সুনিপূণ দক্ষতায় হয়ে উঠে ঐতিহ্যের পাশাপাশি আভিজাত্যের পোশাক। জামদানির সেই গর্ব নিয়েই লিখেছেন মোর্শেদ নাসের টিটু

ওভেন কিনতেঃ

শহুরে হেঁসেলে ওভেনের সংযোজনটা এখন খুব আহামরি কোনো আবদার নয়। পাকা গৃহিনীর রান্নাঘর হোক কিংবা নতুন সংসার, সবখানেই একখানা ওভেন যেন এখন আর না হলেই নয়। ঢাকাতে এখন তিন ধরনের ওভেন পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি ইলেকট্রিক ওভেন, একটি মাইক্রোওয়েভ ওভেন আর একটি হলো ইলেকট্রিক মাইক্রোওয়েভ ওভেন। এদের মধ্যে যেটা শুধু ইলেকট্রিক ওভেন সেখানে প্রায় সবধরনের খাবার রান্না করা সম্ভব কিন্তু খাবার গরম করে খাওয়ার মজাটা উপভোগ করা সম্ভব নয়। আর মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার দ্রুত রান্না করা গেলেও এখানে কিন্তু খাবার রান্না করার কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। অর্থাৎ সব রকমের খাবার এই ওভেনে রান্না হবে না। তবে এখন বাজারে বেশকিছু মাইক্রোওয়েভ ওভেন বাজারে পাওয়া যায় যেগুলোতে প্রায় সবধরনের খাবার রান্না করা যায় পাশাপাশি মাইক্রোওয়েভ দিয়ে খাবার দ্রুত গরম করাও যায়।

ক্রিম ময়েশ্চারাইজার

ত্বককে সজীব ও ন্যাচারাল রাখতে আজকাল অনেক ধরনের বিউটি এইডস বের হয়েছে। আধুনিক রূপচর্চায় ত্বকের ধরন, বয়স, প্রহর, মৌসুম এমনকি উৎসবকে মাথায় রেখে কসমেটিকসের উপাদান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এখন থেকে দুই যুগ আগেও যা কল্পনা করা যেত না। ফেসে লাগাবার জন্য দুই রকম ক্রিম বা লোশন প্রচলিত ছিল। একটি হচ্ছে কোল্ড ক্রিম অপরটি স্নো বা ভ্যানিশিং ক্রিম।

চিকেন স্যান্ডউইচ

চিকেন স্যান্ডউইচ তৈরির মূল উপকরণই হলো এর কিমা। আর এই কিমাটা আমি তৈরি করতে শিখেছিলাম আমার বড় ননাস এর কাছ থেকে। এরপর থেকে নানা সময়েই আমি এটা করি। বিশেষ করে আমার ভাগ্নে-ভাগ্নিরা এই স্যান্ডউইচটা খুবই পছন্দ করে।

উপকরণ : হাড় ছাড়া মুরগির মাংস ( আধ কেজির মতো), ভিনেগার (২ টেবিল চামচ), সয়াবিন তেল (২ টেবিল চামচ) পেঁয়াজ কুচি, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা, লং, গোলমরিচ গুড়া, টেস্টিং সল্ট, আদা, রসুন (পরিমাণমতো), দুধ (এক কাপ), চিনি ও লবণ (সামান্য পরিমাণে), পাউরুটি, মেয়নিজ বা বাটার (পরিমাণ মতো)।

প্রণালী : প্রথমে হাড় ছাড়া মুরগির মাংস ভাল করে ধুয়ে নিয়ে ২ টেবিল চামচ ভিনেগার দিয়ে পানিতে ভাল করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর এই সেদ্ধ মাংস হাত দিয়ে খানিকটা চটকে নিয়ে একটি কড়াইতে ২ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল ও অন্যান্য মসলা দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পেঁয়াজ ও অন্যান্য মসলাগুলো কড়া ভাজা না হয়। এভাবে সব মসলা দিয়ে চুলার উপর বেশ কিছুক্ষণ নাড়ার পর এতে এক কাপ দুধ মিশিয়ে মিনিট দশেক পর স্যান্ডউইচের কিমা নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে নিতে হবে। সবশেষে পাউরুটির মধ্যে মেয়নিজ বা বাটার দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমত কিমা দিতে হবে। আর এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে চিকেন স্যান্ডউইচ। যারা ঝটপট অতিথিদের আপ্যায়ন করতে চান তারা চাইলে একসাথে অনেকটা কিমা বানিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। পরে ফ্রিজ থেকে বের করে ওভেনে খানিকটা গরম করে স্যান্ডউইচ বানিয়ে নিলেই হবে।

মোটা হওয়ার উপায়

ফিনফিনে পাতলা শরীর কারোই কাম্য নয়। দেখতেও মানানসই নয়। বেশী মোটা কিংবা শুকনা কোনোটাই ভাল নয়; মাঝামাঝি থাকাটাই মঙ্গলময়। স্বাস্থ্য প্রকৃতিগত ভাবে পাওয়া। চাইলেই যদি সব পাওয়া যেত তাহলে ইচ্ছেমত সবাই শরীরটাকে বদলে দিত, তবে হ্যা চর্চার মাধ্যমে সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। নিয়মিত অনুশীলন, চেষ্টা ধৈর্য আপনার চাওয়াকে পাওয়াতে পরিণত করবে। যারা খুব শুকনা তারা মোটা হওয়ার উপায়গুলো জেনে নিন।

ব্যায়ামের আগে পরে

শরীর সুস্থ রাখতে শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। এক সময়ে শুধু শেষ বয়সী মানুষরা ডায়াবেটিস কমাতে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করলেও এখন হাঁটাহাঁটি আর ব্যায়ামের অভ্যাসটা তারুণ্যের ক্রেজ কালচারে এসে ঠেকেছে। শহরের মধ্যে থেকে শুরু করে শহরতলীতেও তরুণ তরুণীরা এখন ব্যায়ামে অভ্যস্ত। হালে হিন্দী সিনেমার নায়কদের মাঝে যে বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তার ছাপ এসে পড়েছে আমাদের দেশের তরুণ সমাজের উপর। পাড়ার মোড়ের সেই হ্যাংলা ছেলেটাই হয়তো এখন ব্যায়ামের তাগাদে বেশ তাগড়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই ব্যায়ামের আছে বেশ কিছু নিয়ম। এসব নিয়মের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ব্যায়ামের আগে ও পরে খাবার রুটিন।

চিকেন সাত্যে

ওভেনে ঝলসে নিলে খুব কম সময়েই তৈরি করা যায় মজাদার সাসলিক। কাঠিতে গেঁথে মুরগীর মাংস খেতে পাওয়া যাবে কাবাবের স্বাদ আর গন্ধ। রেসিপি মেকওভারে থাকছে তারই আয়োজন।

১. সবগুলো উপকরণ আগে তৈরি করে নিতে হবে। প্রথমে গাজর, ক্যাপিসকাম আর টমোটোর াইস করে নিন। গাজরটাকে ফুলের মতো করে কাটুন যেন দেখতে নান্দনিক হয়। দেখতে সুন্দর হলে খেতেও ভাল লাগবে।

২. গাজরের মতো ক্যাপসিকাম আর পেঁয়াজকলি কাটুন ছবির মতো করে। সাথে নিন মুরগীর মাংসগুলো। টুকরো করে কাটা মাংসগুলো চেষ্টা করুন হাড় ছাড়া নিতে।

৩. সবগুলো সবজি, পেঁয়াজ, মাংস একটু চুলায় ঝলসে নিন। চাইলে টুকরাগুলো ওভেনেও ঝলসে নিতে পারেন। এসময় রান্নার কিছু সাধারণ মসলা যেমন হলুদ, মরিচ, গরম মসলা আর একটু তেল মেখে নিন।

৪. ঝলসানো সবজি আর মাংসগুলো বাজার থেকে কেনা সাসলিক কাঠিতে গাঁথুন। কাঠির মাথায় কাঁচা মরিচ গেথে দিন। এবার গায়ে বারবিকিউ সস ব্রাশ করে একটু সময়ের জন্য ওভেনে রান্না করুন।

৫. তৈরি হয়ে গেলো মজাদার চিকন সাসলিক ওইথ বারবিকিউ সস। এই সাসলিকে হানি মাস্টার্ড কিংবা গ্রিন চিলি সস দিয়ে ভিন্ন স্বাদ আনতে পারেন। কিছুটা ভিন্নতা আনতে আপনার নিজস্ব কোনো স্টাইল রেসিপির সাথে মেশাতে পারেন।

জীবন থেকে দূরে

মানুষের নিবিড় স্পর্শ আর পরিকল্পনার ছোঁয়ায় প্রকৃতিও যে নতুন করে জেগে উঠতে পারে তারই এক অনন্য সংস্করণ এই সময়ের ফয়’স লেক ও রিসোর্ট। চিরচেনা এই লেকের নতুন রূপ আর এখানে ঘুরে বেড়ানোর নানা দিক নিয়ে লিখেছেন রাশেদুল হাসান শুভ

স্টাইল ঝোলা

যুগটাই এখন ফ্যাশন আর স্টাইলের। পোশাক থেকে শুরু করে আদ্যপান্ত সবখানেই চলে হাল ফ্যাশনের হাতাহাতি। কোথায় নেই ফ্যাশন! শার্টের বোতাম থেকে শুরু করে জুতো বাধার ফিতা, নখের গয়না থেকে শুরু করে চুলের হাইলাইট। ফ্যাশনের এই দুরন্তপনায় অনেক প্রয়োজন আজ স্টাইল আয়োজন। এমনই একটি অনুষঙ্গ হলো ব্যাগ। প্রয়োজন মিটিয়ে এই অনুষঙ্গটি এখন বেশী থেকে বেশী ফ্যাশন আয়োজন। কখনো কাঁধ ঝোলা আবার কখনো স্কিনি জিন্সএর ফাঁকে আটসাট। ব্যাগের এই নানান কীর্তি নিয়েই আমাদের এ সংখ্যার স্টাইলের দুনিয়া লিখেছেন এমএইচ মিশু

Tuesday, July 14, 2009

রেস্তোরাঁ’র আদবকেতা

রেস্তোরায় যে মানুষ বেড়াতে কিংবা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যায় না এটা সবাই জানেন। কাজেই রেস্তোরাঁয় খেতে বসেও যদি আপনাকে একগাদা আদবকেতা মেনে চলতে বলা হয় তাহলে অনেকে কিছুটা হলেও রেগে যেতে পারেন। তবে কথায় বলে, সব পরিবেশ আর পরিস্থিতিরই নাকি আলাদা একটা ‘চাল’ আছে। তাছাড়া একবার ভেবেই দেখুন না। আপনি খেতে বসেছেন কোনো চাইনিজ রেস্টুরেন্টে। নীরব আলো আঁধারীর মাঝে চলছে টুংটাং শব্দ আর সুস্বাদু সব খাওয়া দাওয়া। এর মধ্যে পাশের টেবিলে কেউ যদি খাওয়া ফেলে উচ্চ স্বরে তার সেলফোনে ব্যবসায়িক কোনো আলাপ চালিয়ে যেতে থাকে তাহলে তিনি নিশ্চয়ই আপনার বিরক্তের কারণ হবেন। কাজেই আপনিও যেন খেতে বসে অন্য কারো বিরক্তির কারণ না হোন সেটি নিশ্চিত করতেই ঝটপট পড়ে নিন আমাদের দেয়া এই রেচ্চোরাঁ ম্যানার্সগুলো -

ফ্লাট পেটের জন্যে

নানা অসাবধানতা থেকে আপনার পেটের ভুঁড়ি বেড়ে যেতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম এবং পরিমিত খাবারের মাধ্যমে আপনার পেট ফ্ল্যাট করতে পারেন। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ভূঁড়ি সমৃদ্ধ পেট দৃষ্টিকটু লাগে এবং চলাফেরার জন্য বিরক্তিকর বিষয়। এটা স্মার্টনেসে ব্যাঘাত ঘটায়।

বৃষ্টি দিনের সাজ

সজীবতাহীন, বণহীন, বর্ণহীন ত্বক সাজের মাধ্যমে সুন্দর করা যায়। কিন্তু বেশীক্ষণ সেজে থাকলে ত্বক আরো বেশী নষ্ট হতে পারে। তাই সাজের পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে মনোযোগী হতে হবে বেশী।

০ বাইরে থেকে বাসায় ফিরে ক্লেনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগান।
০ ত্বকে গ্লো ঠিক রাখতে মধু, দুধের সর, চন্দন গুড়া একসাথে মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
০ ত্বকের মরা চামড়া ঝেড়ে ফেলতে এক্সফোলিরেটিং স্ক্রাব ব্যবহার করুন।

বর্ষার হেয়ারস্টাইল

আধুনিক নারীদের সৌন্দর্যের অনবদ্য অংশ হলো চুল। আর তাইতো চুল নিয়ে চলে কত চুল চেরা চিন্তা ভাবনা। চুলের বাহারি কাট আর নানান ফ্যাশন নিয়ে নারীর নগরময় ছুটোছুটি যেন চোখে পড়ার মতো। কিন্তু হায়! এই বর্ষায় ঝরঝর জলধারা আপনার পরিপাটি করে সাজানো চুলের সামাধি ভেঙে চুরমার করে দিতে পারে। তাই তাই বর্ষার জন্য চাই স্পেশাল হেয়ারস্টাইল। এসপ্তাহে রইলো তারই আয়োজন-

বর্ষার এই বিশেষ চুলের স্টাইলগুলো সাজিয়েছেন হেয়ারোবিক্স ব্রাইডাল এর স্বত্বাধিকারী হেয়ার স্পেশালিস্ট শারমিন মিউনি। মডেল ছিলেন এলিনা এবং ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

Tuesday, July 7, 2009

বর্ষার কিচেন কেয়ার

বৃষ্টি বাদলার দিনে রসুইঘরের যতœ সবচেয়ে জরুরী। কারণ এখানে এমনিতেই পানির ছিটেফোঁটা থেকে থাকে। তার উপর পরিবেশের স্যাঁতস্যাঁতে প্রভাব দ্রুতই রান্নাঘরকে অরক্ষিত করে তুলতে পারে। তাই জেনে নিন দ্রুত কি করে রান্নাঘরকে এই বর্ষায় ফিট রাখবেন।

বর্ষার অসুখ-বিসুখ

বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভাল লাগে। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কাদা মাটিতে হা-ডুডু, ফুটবল খেলতে সব শিশু-কিশোররাই পছন্দ করে এমনকি সুযোগ পেলে বড়রাও। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজলে নানা অসুখ-বিসুখ এসে ভর করে শরীরে। বৃষ্টিতে ভিজলে হতে পারে জ্বর, হাঁচি, কাশি, সর্দি, মাথা ব্যথা বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, এছাড়া বর্ষাকালে আরো নানা অসুখ-বিসুখ দেখা দিতে পারে। বমি, চোঁয়া ঢেকুর, পেট ফাপা, ডায়রিয়া কিংবা আন্ত্রিক, খোঁস-পাঁচড়া, দাদ বা চর্ম সংক্রমণ ইত্যাদি। বর্ষাকালে শিশুরা সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ বর্ষাকালে এই সমস্ত অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা সহজেই বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হন। যারা ডায়বেটিসে কিংবা কিডনি সমস্যায় ভুগছেন তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শিশুরা যদি সঠিকভাবে মায়ের দুধ পায় তবে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।

রিকন্ডিশন গাড়ির যত্ন

প্রায় ১০০ বছর ধরে সায়েন্স ফিকশন মানুষের ভেতরে এক উন্মাদনার ঝড় বয়ে দিয়েছে। আর সে উদ্মাদনা হল দীর্ঘপথকে বা ভ্রমণকে আরও আরামদায়ক করার কৌশল অর্জন করা। গাড়ি এক সময়ে বিলাসী মানুষদের যানবাহন ছিল। সভ্যতার ক্রমোন্নতিতে গাড়ি একটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে এটি এখন বিবেচ্য। বর্তমানে বাংলাদেশে একটু স্বচ্ছলতা থাকলেই গাড়ি কেনার চিন্তা করে। এখনকার বিশ্বে মানুষ তার নিজের নিরাপত্তার পাশাপাশি তার সম্পদের নিরাপত্তাও চায়। সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষায় নানা ধরনের আধুনিক যানটি সচল রাখতে পারেন। গাড়ির মধ্যে প্রাইভেট কারই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। উল্লেখযোগ্যের মধ্যে ফ্যামিলি সেলুন, পিপল ক্যারিয়ার, স্পোর্টস কার ও রেসিং কার অন্যতম। বাংলাদেশের রাজপথে ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির তুলনায় অধিক স্থান দখল করে নিয়েছে জাপানের রিকন্ডিশন গাড়ি। আমরা প্রায়ই গাড়ির বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়ি, ভেতরের কোনো খবরই রাখি না। ঢাকার কাকরাইল, পল্টন, ধানমন্ডি, বারিধারা, চট্টগ্রামের মুরাদপুর, আগ্রাবাদ রিকন্ডিশন গাড়ির বিশাল বিশাল সু-সজ্জিত আধুনিক শোরুম লক্ষ্যণীয়।

বর্ষার বালিশের যত্ন

মাথার নিচে ঝরঝরে এক টুকরা বালিশ না হলে অনেকেরই রাতের ঘুম হারাম। আর তার উপর যদি হয় বর্ষার মৌসুম যখন চারপাশের সবকিছুই স্যাঁতস্যাঁতে তখন বালিশের যত্নটা একটু বেশীই জরুরি হয়ে উঠে। বালিশ পরিষ্কার রাখলে অনেক রোগবালাই-এর হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।

প্রতি ৪-৬মাস অন্তর বালিশ পরিষ্কার করা প্রয়োজন। তুলায় তৈরি বালিশ ধোবার সময় সাবানের তুলনায় ডিটারজেন্টই বেশী কার্যকর হবে। ডিটারজেন্ট পানিতে ধোয়ার পরে বালিশগুলোকে আবার ঠান্ডা পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নেবেন। চাইলে বালিশ ওয়াশিং মেশিনেও ধুতে পারেন। সেক্ষেত্রে ওয়াশিং মেশিনের মধ্যে ডিটারজেন্ট গুলে নিন। এরপর বালিশ চেপে চেপে ভেতরের বাতাস বের করে নিন। এবার ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে সফট ওয়াশিং অপশন সিলেক্ট করে দিন। এভাবে বালিশ ধুয়ে নিলে শুকাতে একটু বেশী সময় লাগবে। বালিশগুলো ওয়াশিং মেশিন থেকে বের করে আবার একটু পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ ফোটা ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে তাতে বালিশগুলো ডুবিয়ে তুলুন। একই ভাবে সিন্থেটিক তুলার তৈরি বালিশও পরিষ্কার করা সম্ভব। তবে সিন্থেটিক তুলায় তৈরি বালিশ ধোয়ার সময় ও ধোয়ার পরে খুব বেশী চাপাচাপি করবেন না। এতে ফাইবারগুলো বেশী মুচড়ে যাবে। ফোমের তৈরি বালিশ হাতে পরিষ্কার করুন। এটা ওয়াশিং মেশিনে দেবেন না। পানিতে ডিটারজেন্ট গুলে নিয়ে তাতে পানি ঢেলে তরল তৈরি করে নিন। এবার ফোমের বালিশের উপর সেই তরল ঢেলে হাত দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। বর্ষায় এসব বালিশে ২টা কভার ব্যবহার করুন। একটা নোংরা হলেও অপর একটা আপনার বালিশকে ধুলো ময়লার হাত থেকে রক্ষা করবে। যদি বাড়িতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার থাকে তাহলে বালিশ পরিষ্কারে ব্যবহার করুন। রোদের সাড়া পেলেই একটু বাইরে রোদে দিন বালিশগুলোকে।

বর্ষায় নাজুক ত্বক

সিজনানুযায়ী ত্বকের নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। বর্ষাকালও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্ষাকালে ত্বক কেমন যেন রুক্ষ অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। ত্বকে এ সময় র‌্যাশ ও ব্রণের প্রকোপ বাড়ে। তাই বর্ষাকালে ত্বকের বাড়তি যতেœর প্রয়োজন। বর্ষাকালে ত্বকের যতেœ যা যা করবেন।
০ ত্বক উজ্জ্বল, সুন্দর রাখতে প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, পানি এবং পানি জাতীয় খাবার খাবেন।
০ তেল মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
০ বার বার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোবেন।
০ বর্ষাকালে রোদ কম থাকলে ও সূর্যরশ্মির প্রতিফলন হয় তাই রোদে বেরুলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাবেন।
০ মুখের ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব দূর করতে পাকা পেঁপের ক্বাথ ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখলে বিবর্ণ ত্বকে ফিরে আসবে উজ্জ্বলতা।
০ ব্রণ হলে নিমপাতা ও চন্দনবাটা লাগান। ব্রণের দাগ দূর করতে চন্দনবাটা, হলুদ ও লবঙ্গবাটা, জয়ফল গুঁড়োর সঙ্গে আপেল ও কমলালেবুর রস মিশিয়ে লাগান। বিশ মিনিট পরে কাঁচা দুধ তুলোয় ভিজিয়ে মুছে নিন।
০ বর্ষার অবশ্যই ওয়াটার প্রুপ মেকআপ ব্যবহার করবেন।
০ গোসলের সময় গোলাপের পাপড়ি ও কাঁচা হলুদবাটা, বেসন ও দই একসঙ্গে মিশিয়ে গায়ে মাখলে ত্বকে যেমন উজ্জ্বল আভা আসে, তেমনই গোলাপের সুগন্ধ সারাটাদিন ঘিরে থাকবে আপনাকে। আর আপনার মন মেজাজ থাকবে ফুরফুরে।
০ ক্লেনজিংয়ের জন্য ময়দা ও দুধের সর সারা মুখ, গলা ও হাতে লাগিয়ে রাখুন। আধ শুকনো হলে অল্প ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এরপর হালকা গরম পানিতে কর্পূর মিশিয়ে তাতে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ, গলা, ঘাড় ও কানের পাশ পরিষ্কার করে নিন।
০ ফুটন্ত পানিতে জুঁই এবং গোলাপের পাপড়ি সেদ্ধ করতে থাকুন। অনেকক্ষণ সেদ্ধ করার পর ঠান্ডা করে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রয়োজন মত তুলোয় ভিজিয়ে মুখে লাগান স্কিন টনিক হিসেবে।
০ ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দুধের সর ও গোলাপের পাপড়িবাটা ব্যবহার করুন।

জুতার যত্ন

বর্ষায় কর্দমাক্ত পথ চলতে আমাদের যতটাই কষ্ট হোক, জুতার কিন্তু দফা রফা। আর তাই জুতার জন্য এই বর্ষায় চাই একটু স্পেশাল কেয়ার।

০ বৃষ্টির দিনে পথ চলতে জুতায় একটু পানির ছোয়া লাগাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে জন্য বাড়িতে এসে জুতা ফ্রাই প্যানে তুলে দেবেন না। অনেকেই জুতা চুলার পাশে রেখে সেকে থাকেন। এটা কখনো করতে যাবেন না। তাপ লেগে চামড়া আর এর উপরে যে স্থায়ী পলিশ দেয়া থাকে তার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই ভেজা জুতা শুকানোর জন্য কাগজ ব্যবহার করুন। কাপড় দিয়ে মুছে কাগজে মুড়ে জুতা ফ্যানের নিচে রেখে দিন। দেখবেন দ্রুত জুতা টনটনে শুকনা হয়ে যাবে। পারলে অবশ্যই রোদে দেবেন।
০ কাদার হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে জুতা হয়তো নিজেই কাদায় মাখামাখি। তাই বাড়িতে এসে একটু সময় নিয়ে কাদা মুছে রাখুন। নইলে কাদা শুকিয়ে চামড়ার স্থায়ী কোনো ক্ষতি সাধন করতে পারে।
০ পানিতে ভেজা জুতা না মুছে রাখতে দ্রুত ফাঙ্গাস পড়ে যেতে পারে। তখন সে জুতা আর ব্যবহার উপযোগী থাকবে না।
০ পা থেকে জুতা খুললেই উটকট গন্ধ। আর তাই অনেকেই অফিসে কিংবা কোথাও বেড়াতে গেলে জুতো খোলা থেকেই বিরত থাকেন। কিন্তু এধরনের পরিস্থিতির জন্য এখন নানান উপায় আছে। হোমিওপ্যাথি ঔষধ খেলেই এধরনের সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া ােয়। পাশাপাশি এখন ব্র্যান্ডেড বেশ কিছু পায়ের পারফিউম পাওয়া যায়। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করলেও কিছুটা উপকার পাওয়া যায়। যাদের খুব বেশী পা ঘেমে যায় তাদের প্রতি নিয়ত মোজা পরিবর্তন করে রাখা উচিত। আর সুতি মোজা ব্যবহার করা উচিত। ঘেমে গেলে জুতা শুকাতে দিন। চেষ্টা করুন রোদে দিতে। আর ঘামের গন্ধ তাড়াতে জুতার ভেতরে কর্পূর কিংবা সোডি বাইকার্ব ব্যবহার দিন।
০ সঙ্গে পলি ব্যাগ রাখতে পারেন। এতে বৃষ্টির পানি থেকে জুতা রক্ষায় পলি ব্যাগে ভরে ফেলতে পারবেন। চাইলে কিছু ওয়াটার প্রুফ কালি পাওয়া যায়, এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

বর্ষাবেলায় চুলের যত্ন

কথায় আছে আষাঢ়ের রোদ বড় বেশী ছলনাময়ী। এই আছে তো এই নেই। রোদ দেখে বেরুলেন কিন্তু হঠাট এক পসলা বৃষ্টি এসে আপনাকে ভিজিয়ে দিয়ে গেল। এমনিতে বর্ষাকালে সবকিছু স্যাঁতস্যাঁতে থাকে সহজে শুকাতে চায় না। একবার গোছল করলেও চুল শুকাতে অনেক সময় লাগে। তারপর বৃষ্টিতে ভিজলে চুলের উপর প্রেসার পরে বেশি। তাই বর্ষাকালে চুলের যত্ন একটু বেশি সচেতন হতে হবে।

বর্ষায় শিশুর যত্ন

গ্রীষ্ম হোক কিংবা বর্ষা, শীত হোক অথবা হেমন্ত - বাড়ির সদস্য তালিকায় যদি শিশুদের উপস্থিতি থাকে তাহলে সব ঋতুতেই আবহাওয়া আর সময়ের মেজাজ বুঝে নিশ্চিত করতে হবে শিশুদের যতœ। একথা হয়তো ঠিক যে ঋতুর পালাবদলের সাথে সাথে কমবেশি সবাইকেই কোনো না কোনো বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হয়। কিন্তু শিশুরা যেহেতু খাওয়া থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রেই বড়দের উপর নির্ভরশীল তাই যেকোনো ঋতুতেই শিশুদের যতেœ এগিয়ে আসতে হয় শিশুর বাবা-মা তথা অভিভাবকদের।

এই বৃষ্টিতে এই বর্ষায়

সময়ের কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে আসলেও এই বর্ষায় সময় জ্ঞান নেই আকাশ বাবুর। আর ঠিক নেই তার মেজাজ মর্জির। তাই মেঘের সঙ্গে সারাদিন খেলা করে ক্লান্ত হয়ে উঠে সূর্যের মন। যখনই বিষাদ ভর করে তার মন জুড়ে তখনই নেমে আসে বৃষ্টির চাদর। কখন নামবে তার কিন্তু কোন ঠিক নেই। সকালে জানালা খুলে সূর্যের আলোর বদলে চোখ ভেসে যায় বৃষ্টির জলে। আর এই বাস্তবতাতেই আষাঢ় জুড়ে প্রাধান্য পায় বৃষ্টি ভাবনা। শুধু রোমান্টিকতায় নয় বরং এই বৃষ্টিতে আর এই বর্ষায় বাস্তবতাও অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। জীবনযাত্রা যায় বদলে। বদল হবার সেই সময় নিয়ে লিখেছেন মোর্শেদ নাসের টিটু